মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধ:রাজৈর - মাদারীপুর দিনে-রাতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অন্তত ১০টি স্পটে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন হচ্ছে প্রতিদিন জন্ম দিচ্ছে ভাঙন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানা এবং মাদারীপুর সদর রাতভর চলে অবৈধভাবে বালু লুটের মহোৎসব।
নদ-নদী এখন বালু খেকোদের কবলে। কুমার নদী এবং আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে দিনের পাশাপাশি রাতেও।
বিশেষ করে রাজৈরের কবিরাজপুরের কালার চর, গোয়াল পাতান, কালিবাড়ি, শাখার পার সদরের শ্রীনদী, রায়েরকান্দি, কোটবাড়ি, গোসাদিয়া নতুন রাজারহাট, এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় বালু উত্তোলন। রাতভর চলে এই কার্যক্রম, সকালেই জাহাজ বোঝাই হয়ে যায় বালুতে। শ্রমিকরা নিজেরাই অকপটে স্বীকার করছেন, তাদের কার্যক্রমের কোনো বৈধতা নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি রাতে নদীর বুক চিরে বালু তোলা হয়; অথচ প্রশাসনের তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কুমার নদী থেকেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে ভাঙনের ভয়াবহতা। অনেক স্থানে চাষযোগ্য জমি এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত এই বালু সিন্ডিকেটে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চললেও তাদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
হতাশা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, ‘নদী ভাঙনে আমার বসতভিটা চলে গেছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি আসে। প্রশাসন যদি কঠোর না হয়, আমরা সব হারিয়ে ফেলবো।’
জেলার সচেতন মহলের সভাপতি বাবলুর রহমান সোহেল বলেন এই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন শুধু পরিবেশের ক্ষতি করছে না, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও হুমকিতে ফেলছে। স্থানীয় প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া দরকার।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা রাতের বালু উত্তোলন নিয়ে তথ্য নিচ্ছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]