দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক: রাজধানীতে সম্প্রতি মশার উপদ্রব উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কিউলেক্স মশার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। মশার এই উপদ্রবে শুধু ঘুমের ব্যাঘাতই হচ্ছে না; ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে সারা দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু শনাক্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। বছরজুড়ে এই রোগে প্রাণ হারান ৫৭৫ জন। দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
মশক নিধন কার্যক্রম কখনোই খুব শক্তিশালী ছিল না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাই এর সুফল সেভাবে পায় না নগরবাসী। প্রতি বছর মশা নিয়ন্ত্রণে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ কম।
সম্প্রতি মশার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগ, কিউলেক্স মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তারা। মশা নিধনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কেউ। আগে সপ্তাহে একবার মশার ওষুধ ছিটালেও এখন এক মাসেও তাদের দেখা মেলা ভার। ফলে দিন-রাত বাসাবাড়িতে মশায় কামড়ায়। সারা দিন বাসায় কয়েল জ্বালিয়ে বা মশারি টানিয়ে রাখতে হয়।
তবে এসব অভিযোগ পাশ কাটিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দাবি, মশা নিধনে তারা প্রতিদিনই ওষুধ ছিটায় এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন অভিযানও অব্যাহত আছে।
এমনকি মানুষকে সচেতন করতে নানা সময় জরিমানাও করা হচ্ছে, কিন্তু যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, তা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : rural.shiromoni@gmail.com, info@shiromoni.com
Notifications