1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন

ময়মনসিংহে কর্নেল তাহের অধ্যয়ন কেন্দ্রের আত্মপ্রকাশ

রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

ময়মনসিংহ থেকে মোঃ রেজাউল ইসলাম: গতকাল (০৮ আগস্ট ২০২৫) ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘কর্নেল তাহের অধ্যয়ন কেন্দ্র, ময়মনসিংহ’ নামে একটি নাগরিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ উপলক্ষ্যে আজ বিকাল ০৫ ঘটিকায় নগরীর মালগুদাম এলাকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের পথ বেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লালসবুজের পতাকাখচিত বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়। মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং এর বীরসেনানীদের দেশপ্রেমের চিন্তা-দর্শন অধ্যয়ন করা ও প্রজন্মের সামনে তোলে ধরা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্ব অনুধাবন করে কর্নেল তাহের অধ্যয়ন কেন্দ্র, ময়মনসিংহ এর আত্মপ্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল আবু তাহের, বীর উত্তম। তাই তাঁর নামে নামাঙ্কিত করে ময়মনসিংহকেন্দ্রিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই নাগরিক সংগঠনের নামকরণ করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, কর্নেল তাহের দেশপ্রেমিকের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সনে কর্নেল তাহের পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ্রগ্রহণ করেন। তাঁর প্রস্তাবে তৎকালীন রংপুরের পুর্বাংশের যমুনা তীরবর্তী অঞ্চল, জামালপুর, টাংগাইল, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটের (বর্তমানে সুনামগঞ্জ)কিছু অংশ নিয়ে ১১নং সেক্টর গঠিত হলে তিনি সেক্টর কমানরডারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কর্নেল তাহের সম্মূখ সমরে যুদ্ধের মাঠে উপস্থিত থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে পাকিস্তানী হায়েনা ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস্, রাজাকারদের নাস্তানাবুদ করেন। তিনি ১৯৭১ এর ১৪ নভেম্বর জামালপুরের কামালপুর যুদ্ধে পাকিস্তানীদের কামানের গোলায় একটি পা হারান। তাহেরের আকাঙ্খা ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। যে সমাজ ব্যবস্থায় দেশের প্রতিটি মানুষ পাবে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয়ের জন্য তার এই দৃষ্টান্তমূলক আত্মত্যাগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুপ্রেরণা জোগানোর অনন্যা নজির। । কর্নেল তাহের ও মুক্তিকামী জনতার আত্মত্যাগকে ধারণ করে দেশপ্রেমের ঝান্ডা উড়িয়ে সম্মূখপানে এগিয়ে যেতে হবে।

বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান মিয়া’র সভাপতিত্বে এবং মো: আরিফুল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইমতিয়াজ আহমেদ, মো: আব্দুল হান্নান আল আজাদ, কবি আফতাফ আহমেদ মাহবুব, মো: নুর আলী চিশতি, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, মঞ্জুরুল হাসান, ভেনাস ভৈমিক, তানজিল হোসেন মুণিম,সজিব দাস, চিত্রণ ভট্টাচার্য প্রমূখ।

আলোচনা সভাশেষে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট কর্নেল তাহের অধ্যয়ন কেন্দ্র, ময়মনসিংহ এর সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি