দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেনসেবা চালুর দাবিতে বাগেরহাটের মোংলায় স্থানীয়দের উদ্যোগে মানবন্ধন। মঙ্গলবার মোংলা পোর্ট পৌরসভার সামনে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেনসেবা চালুর দাবিতে বাগেরহাটের মোংলায় স্থানীয়দের উদ্যোগে মানবন্ধন।
রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলার পথে সরাসরি ট্রেন–সেবা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘আমরা মোংলাবাসী’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার পোর্ট পৌরসভার সামনে ওই মানববন্ধন হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে দাবিটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মোংলা হলো সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার, সেই সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। বলা চলে পর্যটন ও বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনাময় এক শহর। এখানে রয়েছে ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল, গ্যাস, সিমেন্ট, সিরামিকসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এখানে শত শত কোটি টাকা দিয়ে রেলপথ করা হলেও এর মাধ্যমে এই অঞ্চলকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা হয়নি। ফলে এই রেলপথ কোনো কাজে আসছে না। পদ্মা সেতুর কল্যাণে মোংলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ এখন অনেক সহজ হয়েছে। এখন রেল যোগাযোগব্যবস্থা চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বড়বে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।মোংলা নাগরিক সংঘের সভাপতি মো. নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী, মোংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি হাবিব মাস্টার, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কাদের, ট্যুর অপারেটর ও জামায়াত নেতা আনিসুর রহমান, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমাদুল হাওলাদার প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হলে কেবল মোংলা নয়, বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, রামপালসহ এ অঞ্চলের মানুষ রেলসেবা গ্রহণের সুবিধা পাবে। পর্যটন এবং ব্যবসা–বাণিজ্যেও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা আন্তনগর ট্রেন চালু অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই অবিলম্বে মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা দুটি আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।