দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ইন্ধনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন-গৃহযুদ্ধ হিসেবে দেখাতে চাওয়াই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তীব্র নিন্দা জানাইয়াছেন।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান
আজ ২১ শে আগষ্ট সংবাদপত্র প্রেরিত এক বার্তায় এই নিন্দা জানান নেতৃদ্বয় বলেন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক বিভাজন হিসেবে দেখাতে চায় তাদের ১৯৭১ সালের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি তাই
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পুরানো কায়দায় মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ফল হিসেবে দেখাতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘দি ক্যাচলাইন’-এ গত ১৬ আগস্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ইন্ধনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন-গৃহযুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হঠাৎ করেই পাকিস্তানের শাসকগোষ্টী ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ কে বিতর্কিত করার মানসে ‘পত্রিকায় এই মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ইন্ধনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন-গৃহযুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করে বাস্তবে তা ইতিহাসের মিথ্যা ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।’ এবং ১৯৭১ সালের লজ্জা জনক পরাজয়ের বেদনায় এমন বলছে।
হঠাৎ করে ৫৪ বছর পরে পাকিস্তানি পত্রিকার নিবন্ধে স্বাধীনতার সংগ্রামকে বাঙালি হিন্দুদের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেন কোন দুরভিসন্ধিমূলক কারনে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাস্তবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেই পুরানো কায়দায় মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ফল হিসেবে দেখাতে চায়। উল্লেখ্য, আমাদের ভূখণ্ডে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে নিম্নবর্ণের কৃষক জনগোষ্ঠীর প্রকৃতির বিরুদ্ধ শক্তি এবং সামন্তীয় শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতপাত বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের ঐক্য ও মুক্তির নিশানা প্রদর্শক হিসেবে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম ছিল সম্প্রীতি ও ঐক্যের রূপে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসকদের সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির কৌশল এবং ভারতবর্ষের উঠতি ধনিক শ্রেণি নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে হিন্দু-মুসলমান বিরোধ সৃষ্টি করে। পাকিস্তানি শাসকরা একই কৌশল ব্যবহার করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নস্যাৎ করার জন্য। কিন্তু তারা পারেনি আমাদের নিপীড়িত মুক্তিকামী জনগণের অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণে
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘গতবছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী শক্তির আস্ফালন দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক বক্তব্য ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তিকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে মনে করিয়ে দিতে চায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতন মানেই এই নয় বাংলাদেশ একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরনত হয়েছে এখানে তারা জংগী বাদ কায়েম করতে পারবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]