রাকিব হাসান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলায় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে এক মাস আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে
মামলা ও শিক্ষার্থীর তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,গত (০৪-০৪-২১) রবিবার সকালে রাজের উপজেলার মাচ্চর(গঙ্গাবরদী) এলাকা থেকে চাকরির দেওয়ার কথা বলে তার বন্ধু আসিফ ফুসকিয়ে ফাঁসকিয়ে ঢাকার সাভারে পুলিশ টাউন বাসা নং৫,৪র্থ তলায় আব্রাহাম চৌধুরী(৬০) নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়ে দেয়। এতে করে আব্রাহাম চৌধুরী আসিফকে কিছু অর্থ প্রদান করে। আব্রাহাম চৌধুরীর মূল পেশা হলো নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা এবং তাদেরকে পাচার করা। আব্রাহাম চৌধুরী তার কাজের মেয়ে সায়মা আক্তার এর সহযোগিতায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তখন ছবি তুলে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে চলছে। এতে এক মাস ঘর বন্ধ করে আটকে রেখে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই খারাপ কাজগুলো করে চলছে।
একমাস পরে ওইখান থেকে কোনো-না-কোনোভাবে বের হওয়ার পরে স্কুলশিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে। গত (১০-০৫-২১) তারিখ সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর রাজৈর থানা-পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি কাজকর্ম করতে পারি না এ বিদায় আমার মেয়ে আমার সংসারের হাল ধরার জন্য চাকরির জন্য খোঁজাখুঁজি করছিল তার কলেজের পড়ুয়া বন্ধু আসিফের সাথে এই সাংসারিক বিষয়ে আলোচনা করে আসিফ বলল আমি তোরে চাকরির ব্যবস্হা করে দিবো এ কথা বলে সে আসিফ আমার নাম্বার দিল আব্রাহাম চৌধুরীরকে। চৌধুরী আমার সাথে কথা বলে পরে আমাদের বাড়িতে আসে আসিফ কে নিয়ে তারপর থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে যায় ঢাকায়। আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পর পর থেকেই মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মেয়ের ফোন রিসিভ করে আব্রাহাম চৌধুরী। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি যে আমার মেয়ে কোথায় সে বলেছে কাজ করতেছে এভাবেই সে আমি ফোন করলে সে বিরক্ত হয়ে যেত হঠাৎ এক মাস পর আমার মেয়ে আমার বাসায় এসে বলল বাবা আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে আমার আর কিছু নেই। আমি নিরুপায় আমি কি করবো জানিনা।তারপর আমি ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে তারপর মাদারীপুর জেলার বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন একটি মামলা দায়ের করি আমার মেয়েকে দিয়ে।যারা আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজগুলো করছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
রাজৈর থানার মামলার তদন্ত সাব-ইন্সাপক্টর(নিরস্ত্র) নাজমুল ইসলাম বলেন, আব্রাহাম চৌধুরী, সায়মা আক্তার ও আসিফকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সেই মামলার আসামি গ্রেপ্তার করা হয়নী কিন্তু শীঘ্রই আসামি গ্রেপ্তার করা হবে। কলেজ শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।এতে সে ধর্ষণ হয়েছে সেটা আলামত পাওয়া গেছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]