মোঃ সাঈদুর রহমান,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খাদ্য গোডাউনে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় খাদ্যশস্য সংরক্ষণে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ১৯৭৮ সালে নির্মিত জয়মনিরহাট ইউনিয়নের খাদ্য গোডাউনে তিনটি কক্ষের ধারণ ক্ষমতা মাত্র দুই হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু উপজেলার চাহিদা অনুযায়ী পনেরো হাজার মেট্রিক টনের গোডাউন প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনের ছাঁদের নানা স্থানে চির ধরেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দেয়াল বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেয়াল ও মেঝেকে স্যাঁতসেঁতে করে ফেলে। এর ফলে চালের মান নষ্ট হয়ে ফ্যাকাশে হওয়া ও পোকা ধরার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে বরাদ্দ অনুযায়ী টিসিবিতে ১৩৪ মেট্রিক টন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে (১৫ টাকা কেজি) ৫৫৬ মেট্রিক টন এবং ভিডব্লিউভি কর্মসূচিতে ১০৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। প্রতিটি ডিলার চাল তোলার আগে নমুনা (ডিও স্যাম্পল) নিয়ে থাকলেও মান নিয়ে অভিযোগ উঠছে।
গোডাউন কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো চাল বিতরণের সময় পঁচা বা দুর্গন্ধযুক্ত পাওয়া যায়, তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বিতরণ বা বিক্রি করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রতিটি বস্তার গায়ে মিলারের নামের সিল থাকায় সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর ইসলাম বলেন, ভূরুঙ্গামারীর খাদ্য গোডাউনটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন।”
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত নতুন ও আধুনিক গোডাউন নির্মাণ করা না হলে খাদ্য শস্য সংরক্ষণে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা দেবে।