মোঃ রেজাউল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহঃ গত১৪ই জুলাই রাতে বসত ঘরে নৃশংস ভাবে খুন হয় স্ত্রী সহ দুইটি অবুঝ শিশু।
আপন ছোট ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম কে আসামি করে মামলা দায়ের করে বড় ভাই মোঃ রফিক মিয়া।
ভালুকা থানার টিএন্ডটি রোডে ভাড়া বসায় ঘুমন্ত অবস্থায় জনৈক রফিক মিয়া’র স্ত্রী ময়না আক্তার(২৫), মেয়ে রাইসা (৫) এবং ছেলে নীরব (২) কে বটি দিয়ে গলা কেটে/কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই সময় রফিক মিয়া ভাড়া বাসার পৌঁছে তালাবদ্ধ অবস্থায় তার স্ত্রী সন্তানকে অনেক ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রফিক মিয়া আশেপাশের লোকজনকে নিয়া তালা ভেঙে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে তাহার স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
উক্ত বাসায় তাদের সাথে থাকা রফিক মিয়ার ভাই নজরুল ইসলামকে দেখতে পান নাই এবং তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পান। এই অবস্থায় আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলাম কে আসামী করে ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলা নং ২৫, তারিখ ১৪/০৭/২০২৫ খ্রি: ধারায় ৩০২/৩৪ দায়ের করা হয়। মামলা রুজুর হওয়ার পর মাননীয় পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ এর দিক নির্দেশনায় ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে এস আই (নিঃ) মোঃ আমিনুল হক সজিয়াল ফোর্সসহ নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম (২২), (পিতা-সনতু মিয়া, মাতা-মৃত মদিনা আক্তার, সাং কীর্তনখোলা (সেনের বাজার), থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনা, এ/পি সাং পারুল, থানা-নেত্রকোনা সদর, জেলা-নেত্রকোনা, এ/পি সাং জনৈক হৃদয় হাসান হাইদ্রুম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া, টিএন্ডটি রোড, ০৭নং ওয়ার্ড ভালুকা পৌরসভা, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ) কে তাহার ভাই রফিক মিয়া (ভিকটিম ময়না আক্তারের স্বামী এবং রাইসা ও নীরব এর পিতা) এর সনাক্তিতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের ফ্লাটফরম থেকে ইং ১৫/০৭/২০২৫ তারিখ বিকাল ১৬.৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় সংযুক্ত কিছু আলামত জব্দ করা হয়।একটি রক্ত মাখা ধারালো বটি দা। যা দিয়ে ভিকটিম ময়না আক্তার(২৫), রাইসা(৫), নীরব(২) কে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে।
একটি পুরাতন সবুজ প্রিন্টের রক্তের দাগ লাগা ভেজা লুঙ্গি। একটি রক্ত মাখা পুরাতন প্রিন্টের চাদর। যা দিয়ে হত্যার পর দায়ের রক্ত মুছা হয়।
ভিকটিম ময়না আক্তার (২৫) এর ব্যবহৃত স্যামসাং সাদা এ৩ এর এন্ড্রয়েড পুরাতন মোবাইল ফোন।