সোহরাব হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার আঠারই গ্রামে জমিজামা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে হত্যার পর চাচির উপর হত্যার দায় চাপানো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনার উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৃত হাবিবুরের স্ত্রী শান্তা খাতুন (২৭),সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের জানান গত 21/7/2025 রাত সাড়ে দশটার দিকে স্বামী হাবিবুর রহমান মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরে আমাকে মারপিট করে।
এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি এ সুযোগ গ্রহণ করে আমার চাচাতো দেবর ইমরান (২০)পিতা শহিদুল ইসলাম গ্রাম আঠারই থানা তালা ও জেলা সাতক্ষীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করে। জ্ঞান ফিরে আসার পর দেখি আমার স্বামী মাটিতে পড়ে আছে, তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার চাচা শ্বশুর শহিদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে বলি সেভাবেই কাজ কর তা না হলে সবাই বিপদে পড়ে যাবে।
এরপর তড়িঘড়ি করে একটি এজাহার লিখে সেখানে আমার স্বাক্ষর দিতে বলে। আমি কোন কিছু না শুনে বুঝেই সেখানে স্বাক্ষর করি। পরে জানতে পারি চাচা শ্বশুর আমার শাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের ভয়ে তিনি হত্যার দায় নিজের উপর নেন এবং ওই এজাহারে শাশুড়ি তার পুত্র কে হত্যা করেছে মর্মে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। সন্তান যতই খারাপ হোক একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারে? প্রকৃতপক্ষে ওই চাচা শশুর শহিদুল সহ জেসমিন, মাসুরা গংয়ের সাথে আমাদের জমি জমার বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরেই শহিদুলের পুত্র ইমরান সুযোগ বুঝে আমার স্বামীকে হত্যা করে শাশুড়ির উপর দায় চাপিয়েছে।
ঘটনার পরপরই দেবর ইমরানকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয় চাচা শ্বশুর শহিদুল। লাশ দাফন না হওয়া পর্যন্ত ইমরান পলাতক ছিল। এতেই বোঝা যায় আমার স্বামীর হত্যার সাথে ইমরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার স্বামী না থাকলে চাচা শ্বশুরদের সুবিধা। আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে তাদের আর কোন অসুবিধা রইলো না।
এটি আমাদের বুঝতে দেরি হয়েছে। এরা সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে আবার কুট কৌশলে শাশুড়িকে ওই মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।