শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট: বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ঐক্য ন্যাপ ও বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে জোটের কিছু আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা হয়েছে, তাদের সঙ্গেও কথা চলছে। ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও কথা চলছে। এর বাইরে বাম মানসিকতার যেসব ব্যক্তি আছেন, তাঁদেরও এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবেন তাঁরা।অন্যদিকে গত বছরের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বলয়ের বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্যে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছিল। তবে এটি এখনো পূর্ণতা পায়নি। সে উদ্যোগ কিছুটা শ্লথ হয়েছে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো বামধারার দলের পাশাপাশি সমমনা গণতান্ত্রিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সে উদ্যোগ এখনো চলছে, তবে নানা কারণে গতি কিছু শ্লথ। তিনি বলেন, তাঁদের দল বাম জোটের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে যুগপৎ কর্মসূচিতে যাবে। তবে জোটের সব কর্মসূচি তাঁরা পালন করবেন, এমন নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীন নির্বাচন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছিল। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আলাপ–আলোচনা এখনো চলছে। বাম জোট মূলত বাম দলগুলোকে নিয়ে একটি বিকল্প শক্তি দাঁড় করাতে চায়। তবে বাম ও বামধারার না হলেও কাছাকাছি মানসিকতার গণতান্ত্রিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি বিকল্প শক্তি গড়ার ব্যাপারে মত রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটে। জোটে বামধারার বাইরের কোনো দলকে সম্পৃক্ত করার প্রশ্নে কিছুটা মতভিন্নতা আছে। সে জন্য জোট সম্প্রসারণ না করে সমমনাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়টিই গুরুত্ব পাচ্ছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আপাতত যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার কথাই ভাবছেন। জোট বড় করার কথা ভাবছেন না। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা সাত দলের ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম ঐক্য যেটা হয়েছে, তারা বাম গণতান্ত্রিক জোটকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, এর আগে ঐক্য ন্যাপ ও বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সেটা খুব একটা এগোয়নি। এখন নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আবার আলোচনা হবে।
Notifications