নান্দাইল প্রতিনিধিঃ আঃ হান্নান আল আজাদ,ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের চারটি গ্রামের কৃষক দিশেহারা বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতাধীন নলকূপের অপারেটর এবং স্বঘোষিত ম্যানেজার মোঃ সুলাল মিয়ার জন্য। গ্রাম গুলো হল, ভাটিপাড়া গ্রাম, মাইজপাড়া গ্রাম, কোনাডাঙ্গর গ্রাম ও খালপাড় গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএডিসি আওতাধীন সিংরইল ভাটিপাড়া গ্রামে অবস্থিত গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে আমাদের জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। দুঃখের বিষয় হল স্বঘোষিত ম্যানেজার মোঃ সুলাল মিয়া সময় মতো পানি দেয়না, মৌসুম শুরু হলে সে তাল-বাহানা করে পাম্প চালু করেনা। অতিরিক্ত অর্থ দিলে পাম্প চালু করে । বিএডিসি কর্তৃক নির্ধারিত ধার্য টাকার চেয়েও অপারেটর এবং ম্যানেজার সোলাল মিয়া শতাংশ প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা আদায় করে।
কৃষকরা বলছেন আমাদের কষ্টের টাকা বেশি নিচ্ছে এ বিষয়টি দেখার কেউ নাই। কার কাছে বলবো সুলাল মিয়ার আপন বড় ভাই হল বিআরডিবির চেয়ারম্যান। তিনি তার ইচ্ছে মতো মেশিন চালু করে এবং তার মত করে বন্ধ করে দেয়। বেশি কিছু বলতে গেলে বা প্রতিবাদ করলে লাটি সুটা নিয়ে মারধর করে এবং তিনি হুমকি দেয় তাই চারটি গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা দিশেহারা।
ভুক্তভোগীরা কৃষক মোঃসালাম কাসম আলী, জসিম উদ্দিন, আ: রসুন, জাকির, কামাল, প্রিয়ার বাক্স, জসিম উদ্দিন আরো অনেকেই অভিযোগ করেন, সেচের কাজে সংশ্লিষ্ট অনভিজ্ঞ অপারেটর, ম্যানেজার মোঃ সুলাল মিয়া তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন দুলাল মিয়ার ক্ষমতা বলে দায়িত্ব পান। কারণ তার ভাই নান্দাইল উপজেলার বিআরডিবির চেয়ারম্যান । এ কারণে তারা বেপরোয়া সেচ বাণিজ্যের সাহস পায়। তাই স্বর জমিনে তদন্ত করে সেচ কমিটির নিয়ম মেনে ন্যায্যমূল্যে সময় মতো পানি চাই, এবং এই দুর্নীতি বাজ অপারেটরে আইনানুগ বিচার চাই । সমস্ত কৃষকদের দাবী সঠিক তদন্ত করে নতুন কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ করা হল। অপারেটর, ম্যানেজার সুলাল মিয়াকে ফোন দিল সে ফোন ধরে নাই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]