মোঃ বাতেন আহম্মেদ, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমনি: পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক গ্রুপের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে রয়েছে বাস সংকট। শরীয়তপুর-থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে শরীয়তপুরগামী পরিবহন সংকটে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌচেছে। ঈদের পর সরকারী ছুটি শেষে এর প্রভার পড়েছে শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের।এমনিতেই পরিবহন সংকট, তার উপরে ঈদের পর যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারনে শরীয়তপুর পৌরসভার বাস টার্মিনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে শত শত যাত্রীদের। সড়কে যানজটের কারণে অনেক পরিবহন সময় মতো টার্মিনালেও আসতে পারছে না। শরীয়তপুর পৌরসভার বাস টার্মিনালে নেই কোন যাত্রী ছাউনি, তাই ঘন্টার পর ঘন্টা টার্মিনালে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে শত শত যাত্রী সাধারনের।শরীয়তপুর থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে সংযোগ সড়ক না থাকা, ২৭ কিলোমিটার এই সড়কটি ভাঙাচোরা ও অপ্রশস্ত। তাই নিদিষ্ট কোন জায়গা ছাড়া একটি গাড়ী অন্য একটি গাড়ীকে সাইট দিতে পারে না। ফলে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়ে ২ ঘন্টার রাস্তায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লেগে যায়। এ রাস্তা দিয়ে যাত্রিদেরকে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে চলতে হচ্ছে, বোরবার সকাল ৮টা থেকে সড়কের জাজিরার টি এনটি মোড়, কাজির হাট, গনির মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে চরম যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো সড়কে আটকে থাকছে। এই বাসগুলো পৌর বাস টার্মিনালে পৌঁছাতে না পারায় যাত্রীদেরও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পন ঘন্টা। শরীয়তপুর পৌরসভার বাস টার্মিনালে নেই কোন যাত্রী ছাউনি, যাত্রীদেও জন্য নেই কোন টয়লেট ব্যবস্থা। বাস না থাকায় সকাল থেকেই যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে পৌচেছে।ডামুড্যা উপজেলার কনেকশ^র এলাকার এনামূল হক খান বলেন, এক আত্মীয়ের বিয়ের জন্য ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়ে গ্রামে এসেছিলাম। ঈদের আগে ঢাকা থেকে শরীয়তপুর আসার সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় রওনা হই। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পৌর বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করে কোনো বাসে উঠতে পারেননি। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে।শরীয়তপুর সদরের আটং গ্রামের শাহ আলম বলেন, সকাল থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার টারমিনালে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু ঢাকায় যাওয়ার বাসের সংকট। ভিড় ঠেলে উঠতে পারছি না। তাই সিএনজিতে টোল প্লাজার সামনে যাচ্ছি। টোল প্লাজার সামনে থেকে যে কোনো পরিবহনে উঠে ঢাকায় যাব।শরীয়তপুর সদর উপজেলার বালুচরা গ্রামের হামেদ খা বলেন, অসুস্থ্য রোগী নিয়ে এসেছি পৌর টারমিনালে। ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও বাস পেলাম না। এখন কি করবো, তা বুঝতে পারছিনা।পরিবহন কোম্পানি শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের চেয়ারম্যান ও শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আজ জাজিরায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে বাসের সংকট রয়েছে
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]