রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৭ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || রবিবার | ৪ মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ৫ জিলকদ ১৪৪৬
বাগেরহাটে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বাগেরহাটের মোং লা উপজেলার ছাড়াবাড়ি এলাকার শাহিন (৩২) হত্যা ঘটনায় মামলার মূল আসামিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে মোংলা থানা পুলিশ।দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে পুলিশ। নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।বুধবার (৩০ মার্চ)বেলা ১১ টায় মোংলা থানায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান হয়, গত ২৮ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় সংবাদ পাই মোংলা পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ি এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে স্থানিয়রা উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।সংবাদ পেয়ে মোংলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল এবং মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যান এবং ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মোংলা থানায় মামলা করেন নিহত মো. শাহীনের বোন খাদিজা বেগম। মারুফের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়। যার মামলা নং-২২/৬৫, ধারা ৩০২-৩৪, পেনাল কোড রুজু করা হয়। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কে,এম,আরিফুল হক, পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী রেজা মূল রহস্য উদঘাটন করে এবং এস আই দেবোজিৎ, এস আই বাহারুল ও এস আই মিকাইল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৃত শাহিন এর হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আঃ রশিদ এর ছেলে মারুফ ( ৩২) কে খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন উত্তর বেতকাশী বাজার এলাকা হতে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে মোংলা থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে মারুফের দেখানো ও সনাক্তমতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তার মারুফের বাড়ি কয়রায় হলেও তিনি মোংলা পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার বন্ধু নিহত শাহীনও ছাড়াবাড়ি এলাকায় থাকতেন।প্রেস রিলিজে আরো বলা হয়, আসামী মারুফ (৩২) এর সাথে আনুমানিক ৭/৮ বছর আগে মোছাঃ নাদিরা খাতুন (২৬) এর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। দাম্পত্য বিভিন্ন বিরোধের জের ধরে মারুফের সাথে তার স্ত্রী নাদিরার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে নিহত শাহিন মারুফের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী নাদিরাকে বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকেই মারুফ বিবিন্ন সময় শাহিন ও নাদিরাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৮ মার্চ) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:১০ মিঃ এ হত্যার ঘটনা ঘটে।প্রেসরিলিস চলাকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী রেজাসহ পুলিশ সদস্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : rural.shiromoni@gmail.com, info@shiromoni.com
Copyright © 2025 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.