জুলফিকার তালুকদার, চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা ২০ শয্যাবিশিষ্ট সৌদি হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পরেও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে পারেনি।
১৯৯৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটি বর্তমানে জনবল সংকট, অবকাঠামোর অবনতি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অকার্যকারিতার কারণে কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
হাসপাতালে মোট ৩২টি পদের মধ্যে ২৩টি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারী, দুইজন ওয়ার্ড বয় এবং কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মাত্র ৯ জন কর্মরত রয়েছেন । ২০০৭ সালের পর থেকে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ ও জরুরি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে শুধুমাত্র সীমিত পরিসরে বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া হয়, তাও নিয়মিত নয়। হাসপাতালের ভবন ও যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে। দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙা, বাথরুমের বেসিন ও কমোড ভাঙা, এবং কক্ষগুলোতে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। হাসপাতালের পরিত্যক্ত কক্ষগুলোতে স্থানীয় মাদকসেবীদের আড্ডা বসে, যা এলাকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকেই ২৮ কিলোমিটার দূরে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বাধ্য হন, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। অনেক ক্ষেত্রে গুরুতর রোগীরা পথেই মারা যান ।
জনবল নিয়োগ, অবকাঠামো সংস্কার এবং সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে স্থানীয়দের দাবি। ভোলা সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতালটি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন ।