1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটির প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন,সংরক্ষণের দাবী ভয় নেই তার : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল কুয়াকাটায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপি’র র‍্যালি কোটালিপাড়ায় জুলাই গনঅভূৎথানে শহীদ রথীনের সমাধীতে পুস্প অর্পন কালীগঞ্জে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রায় জনতায় ঢল সোনারগাঁয়ে ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির র‍্যালি গার্ড অব অনার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভুইঁয়ার দাফন সোনাতলায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির সমাবেশ ফুলতলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গণ-মিছিল অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটির প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন,সংরক্ষণের দাবী

রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ০৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বেলা ১১ ঘটিকায় পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর একটি প্রতিনিধি দল ময়মনসিংহ নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুল এলাকায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল জানান যে, ইউরোপে ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মুদ্রণ শিল্পের প্রসার ঘটে। বিশেষ করে ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান উদ্ভাবক জোহানেস গুটেনবার্গ কর্তৃক ধাতব চলনশীল অক্ষর ব্যবহার করে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর হতে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। ভারতীয় উপমহাদেশে ছাপাখানার প্রসার ঘটে পর্তুগিজদের হাত ধরে। ১৫৫৬ সালে গোয়ায় পর্তুগিজরা প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করে। এরপর ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তি ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুদ্রণ শিল্প প্রসারিত হতে থাকে। যার প্রভাব প্রাচীন নগরী ময়মনসিংহেও পড়ে।এই মুদণযন্ত্রটি ১৬৯৯ সালে নির্মিত, যা মুদ্রণ শিল্পের অনন্য নিদর্শন। পূর্ব প্রজন্মের প্রগতিশীল মানুষদের হাত ধরে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির ময়মনসিংহে আগমন ঘটে। বর্তমানে যে ডিজিটাল মুদ্রণযন্ত্রের ব্যাপ্তি ঘটেছে তা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই ঘটেছে। প্রাচীন নিদর্শন থেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাত ধরে আধুনিক যন্ত্রের বিকাশ ঘটে। প্রাচীন পুরাকীর্তির নিদর্শন দৃশ্যমান থাকলে প্রজন্ম চাক্ষুষভাবে জানতে পারে তার ক্রমবিকাশের উৎকর্ষতার ইতিহাস। আজ অতীব দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, ময়মনসিংহ নগরীতে ১৬৯৯ সালে তৈরিকৃত প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। যদি এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে প্রদর্শন করা হতো তাহলে প্রজন্ম জানতে পারতো প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র কেমন ছিল। কিভাবে মুদ্রণের কাজ হতো। ময়মনসিংহ শহরে কবে থেকে মুদ্রণ শিল্পের যাত্রা শুরু হয় সে ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেত। কিন্তু আজ অবহেলায় পড়ে থাকায় তা জানা থেকে প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে। সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিদর্শন দল আরো জানান যে, পুরাকীর্তির নিদর্শন অমূল্য প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি উন্মুক্ত স্থানে অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এর অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। যদি এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

পুরাকীর্তির নিদর্শন স্বরুপ প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক যেন অচিরেই জাদুঘরে স্থানান্তরের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর পরিদর্শন দল কর্তৃক ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানানো হয়।

প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর সভাপতিমণ্ডলী সদস্য অধ্যাপক স্বপন ধর, আব্দুল কাদের চৌধুরী, কবি সরকার আজিজ, গোলাম ফারুক লিটন, মো: নুর আলী চিশতি, সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ, কার্যকরী সদস্য কবি আফতাব আহমেদ মাহবুব, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সাংবাদিক শফিয়েল আলম সুমন, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন আল মাছুম, মো: এনামুল কবীর, নিহার রঞ্জন দাস প্রমূখ।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি