রাশিয়া বলেছে, চীনের উল্টো পথে গিয়ে ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে সাইবেরিয়ার তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে জ্বালানি আমদানি সীমিত করার চেষ্টা করে পশ্চিমারা নিজেরাই নিজেদের মাথায় গুলি করেছে। অথচ চীন জ্বালানি আমদানি বৃদ্ধি করেছে। বুধবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক ফোরামে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশটিতে আক্রমণের শাস্তিস্বরূপ রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমাদের চেষ্টা কৃষিপণ্য, ভোজ্যতেল, সার এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আর ইউরোপ রাশিয়ান তেল এবং গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। খবর রয়টার্সের। মারিয়া জাখারোভা বলেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদারিত্বে দ্বন্দ্ব তৈরির পশ্চিমাদের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয়ান মিত্ররা মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছে।সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জ্বালানি সরবরাহ অবিচলভাবে বেড়েছে। চীন জানে তারা কি চায় এবং তারা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারে না। যেখানে পশ্চিমারা নিজেরা নিজেদের মাথায় গুলি করেছে। পশ্চিমারা নিজেরাই আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি রাশিয়ান জ্বালানি থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপকে ভিন্ন উৎসমুখী করার চেষ্টাকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ‘আত্মঘাতী’ প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। স্নায়ু যুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোর পর থেকে রাশিয়া তার জ্বালানি জার্মানিতে সরবরাহ করছে। সৌদির পর রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক। মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার কূটনৈতিক তৎপরতা ইতোমধ্যে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে সরিয়ে এশিয়া, আফ্রিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নমুখী করা হয়েছে। এর আগে চীন-রাশিয়া সম্পর্কের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলায় দেশ দুটির অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]