1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে বের করে দিলেন কৃষি কর্মকর্তা

আব্দুল খালেক, রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

আব্দুল খালেক, রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি: কৃষি কর্মকর্তার কাছে তথ্য চাওয়ায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক কে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯জুন) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধরী ।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মো. মাসুদ রানা। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রৌমারী উপজেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত আছেন।

সাংবাদিক মো. মাসুদ রানা বলেন, রৌমারী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কাছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এস এ সি পি প্রকল্পের প্রদর্শনী-বাস্তবায়ন বরাদ্দ, পাটনার প্রকল্পের প্রদর্শনী-বরাদ্দ, পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্পের বরাদ্দ-বীজের তালিকা ও চর প্রকল্পের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন ও বরাদ্দর তথ্য জানার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসারের অফিস রুমে যাই। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী’র নিকট ওই প্রকল্পের কথা বলতে শুরু করি কিন্তু তিনি আমার সব কথা না শুনে আকস্মিক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এবং বলেন,আপনারা সবাই আমকে পাগল পাইছেন, কিছুক্ষণ আগেও আসছিলো কয়েকজন আমার কাছে তথ্য চাইতে । আপনি কেনো আসছেন ? রুম থেকে চলে যান, আমি কাউকে তথ্য দিতে পারবো না। পাড়লে জেলার সাথে কথা বলেন। এইরকম কথা শুনে আমি তাঁর অফিস থেকে চলে আসি।

এর আগে ওই কর্মকর্তার কাছে তথ্যর জন্য জান রৌমারী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক মো. আব্দুল খালেক তারা বলেন, আমরা দুপুরে কৃষি কর্মকর্তার কাছে গিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ্য বছরের প্রকল্পের তালিকা চাই। এবং কৃষকের প্রনোদনায় তালিকায় স্বজন প্রিতির বিষয়ে অভিযোগ করি। এক পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা আমাদেরকে কোনো তথ্য না দিয়ে আমাদের উপর রাগান্নিত হন। এবং কর্মকর্তা বলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে তথ্য নিয়ে জান তা ছাড়া আমি তথ্য দিতে পারবো না।

রৌমারী উপজেলার দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক মো. সাখায়াত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ওই কৃষি কর্মকর্তা কোনো সাংবাদিক কে তথ্যদিতে চান না। সে নিজের ইচ্ছা মতো পছন্দের মানুষ দিয়ে প্রকল্পের কাজ গুলো করছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই সুবাদে তার কাছে তথ্য চাইতে গেলে সে তথ্য না দিয়ে আমাকে অনেক হয়রানি করেছে। পরে আমি তথ্যর জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত আমাকে কোন তথ্য দেই নাই এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশে অফিসের এক স্টাফ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্যার আপনার সাথে এধরণের আচারণ টা আসলে ভালো করেনি। আপনি (সাংবাদিক মো. মাসুদ রানা) আসার আগে কয়েকজন সাংবাদিক এসেছিলো স্যারের রুমে তারা কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে স্যার রেগে যায়। তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আপনি যান স্যারের রুমে প্রবেশ করেন। আমার মনে হয় তাদের সেই রাগ আপনাকে দেখিয়েছে স্যার। তবে আপনার সাথে এ কাজটা স্যার মোটেও ঠিক করেন নাই। স্যার মাঝে মাঝে সাংবাদিকদের সাথে এই রকম আচরণ করে স্যারের সংশোধন হওয়া উচিৎ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সে আসার আগে কয়েক জন সাংবাদিক আসছিলো তারা আমার কাছে তথ্য চাইতে আমি তাদের তথ্য দেয় নাই, এই নিয়ে আমি টেনশনে ছিলাম। তারা চলে যাওয়ার পরেই সে (দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক) আমার রুমে আসছিলো আমি শুধু তার সাথে একটু জোরে কথা বলছি। আমি তাকে বলছি রুম থেকে চলে যান আমাকে আমার কাজ করতে দেন। আমি তার সাথে কোন খারপ আচরণ করিনি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার বলেন, বিষয়টি আমি কিছুই জানি না তবে খোজ খবর নিচ্ছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি কুড়িগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল আল মামুন বলেন, সাংবাদিক তথ্য নিবে তিনি তা দিয়ে দিবেন। কিন্তু তিনি (কৃষি কর্মকর্তা) দুর্ব্যবহার করবেন কেন? দুর্ব্যবহার করার কোনও সুযোগ নাই। আমি বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলব।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি