ফজলুর রহমান,ঠাকুরগাঁওঃ গৃহবধূকে মারধরের পর চুল কর্তনের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক
ঠাকুরগাঁওয়ে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।আজ বুধবার (১৫ জুন) বিকালে পীরগঞ্জ বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমু সরকারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে গৃহবধূ শহর বানু (৪৫) । এ ঘটনায় বিকালে পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগীর স্বামী হাচান আলী।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিত গৃবধূর বলেন, গত রবিবার (১২ জুন) রাত ১০টায় স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমাকে বলে চেয়ারম্যান আমাকে ডাকছে। আমার নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যানসহ তার কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান আমার মাথার চুল কেটে দেয়। এ ছাড়াও চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে এবং এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোনও কিছু জানাতে দেয় না। এরপর থেকে ৩ দিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকিয়ে রাখেন।গৃহবধূর স্বামী হাচান আলী বলেন, কোনও অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যানসহ তার ছেলেরা মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কি কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারধর করল তা আমরা জানি না। পরে আমরা বাসায় আসলে তারা আমাদের বাসা থেকে বের হতে দেয় না। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়। আজ আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনা গৃহবধূর স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সেই চেয়ারম্যানের বাসায় আমাদের পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।