
নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ভাই-ভাবীকে দাওয়াত দিয়েছিল খাতিজা। কিন্তু সময়মতো তাদের খাওয়াতে না পারায় ঝগড়া বাদে স্বামী রুবেলের সাথে। পরবর্তীতে অভিমানে তিনদিন অনাহারে কাটিয়ে দেন খাতিজা। অবশেষে মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের রোয়াইর দিঘী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার চানপাড়া নয়া পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে খাতিজার সাথে প্রায় ৬-৭ বছর পূর্বে ক্ষেতলাল উপজেলার রোয়াইর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রুবেলের সাথে বিয়ে হয়। রুবেল কালাই উপজেলা সদরের দর্জি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। সে প্রতিদিন রাত করে বাড়ী ফেরার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এই নিয়ে উভয় পক্ষের অভিভাবকবৃন্দ একাধিক বার শালিস বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয় রুবেলের চাচা হাসেমের বাড়ীতে থাকবে এই দম্পতি।সেখানে গত রোববার খাতিজার ভাই ভাবিকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে খাতিজার ভাই-ভাবির সামনে স্বামী রুবেল তার স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এমন অপমান সইতে না পেরে অভিমান করে একটানা অনাহারে থাকার পর অবশেষে খাতিজার মৃত্যু হয়। গৃহবধূর এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন উঠেছে।ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে রুবেলকে আসামী করে মামলা করেছে। আসামি পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যু রহস্য উৎঘাটন হবে বলে জানা তিনি তবে আসামীকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
                     
                    
                    
                    
	
				
		no views