এরশাদ রানা, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জনবসতিদের পার্শ্ব ঘেঁষা ড্রেনেজ,খাল ও নালানর্দমাকে সম্মিলিত ভাবে পরিস্কার রাখার জন্য স্ব-স্ব এলাকার বাসিন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন।
তিনি ৩০মে (শুক্রবার) উপজেলার স্বর্পনালা খাল, মিতল্লা খাল,বোয়ালজুড়ি খাল,কানাই নদী ও কাকড়ী নদীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্হানগুলি পরিদর্শন করতে যান।এসময় তিনি উপজেলার ৩টি খাল ও ২টি ছোট প্রকৃতির নদীর প্রতি কঠোর নজরদারি বাড়ান।খাল ও নদী ২টি ছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ড্রেনেজ ও নালানর্দমার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল দশা।আর এসব ড্রেনেজ ও খালের পাড় ঘেঁষে ব্যবসা করছে উপজেলার কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীরা।যারা শুধু তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে দিনের পর দিন ব্যবসা করে যাচ্ছে।কিন্তু তাদের দ্বারা বিশেষ কিছু ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে এই উপজেলায়- যেমনটি বর্ষার মৌসুম এলে চোখে পড়ে।গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার সবকটি ড্রেনেজ,খাল ও নালানর্দমার পানির উত্তাল ঢেউ বেড়েই চলছে।আর এসব পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্হাও নেই।হঠাৎ জোয়ারের পানি এভাবে কেন জটকা লেগে গেছে জনসাধারণ থেকে স্হানীয় ইউএনও জানতে চাইলে একাধিক সচেতন মহল বলেন-যারা ড্রেনেজ,খালও নালানর্দমার উপর বসে ব্যবসা করে যাচ্ছে তাদের কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
যেমন সারাদিনের ময়লার পুটলা,পলিথিন, আবর্জনা,চিপসের খালি পেকেট ও কলার চামড়া এসব ড্রেনেজ ও খালে ফেলতে ফেলতে একপর্যায়ে ময়লার ভাগাড় হয়ে গিয়েছে।
যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে উঠে পড়ে বাসা বাড়িতে ও উপজেলার সড়কপথগুলিতে।পরে (ইউএনও) মোঃ জামাল হোসেন উপজেলার সকল জনবসতিদের উদ্দেশ্য করে বলেন-উপজেলার যেখানে যেখানে এরুপ সমস্যা বিদ্যমান সেটি সকলকে সম্মিলিত ভাবে পরিস্কার রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে প্রয়োজনে কোথাও মাটি কেটে হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করতে হবে।মাত্র কয়েকদিনের হওয়া বৃষ্টিতে যদি এভাবে খালও নর্দমা গুলি ভরাট হয়ে যায় তাহলে পুরো বর্ষার মৌসুমে এই উপজেলা বাসীর কেমন দশা হবে সেটি এখন থেকেই বিবেচনা করতে শুরু করুন।তিনি আরো বলেন আপনাদের বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্যের উর্ধ্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা জরুরী।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]