আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল, আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নে ধুলজুড়ি গ্রামের খালেদ মোশাররফ রঞ্জু(৪৫) সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তুু চাঁদাবাজির মামলার প্রধান আসামি খালেদ মোশাররফ রঞ্জুকে গ্রেফতার না করায় জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই ইউনিয়নের পশ্চিম চরনারানদিয়া গ্রামের মোঃ অহিদুজ্জামান।
গত ৭ নভেম্বর রাতে বেড়িরহাট বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অহিদুজ্জামান বলেন ,বেড়িরহাট বাজারের উত্তর অংশে আমার নিজ জমিতে একটি বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করি প্রথমে বিভিন্ন সালিস মাধ্যমে সুরাহা না পেয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দেই।আবার বহুতল ভবনের কাজ পূনরায় শুরু হওয়ার সময়ে খালিদ মোশাররফ রঞ্জু তার লোকজন সহ আমার কাজে বাঁধাদিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিয়ে কাজ করতে গেলে ভবন ভাঙ্গিয়া গুড়িয়ে দেবে এবং আমাকে ও আমার স্ত্রী পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছিয়া বেগমকে ও দুই মেয়েকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। খালিদ মোশারেফ রঞ্জু এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, জুয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সালিশ বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতির গডফাদার হিসেবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমি তাদের ভয়ে বাধ্য হয়ে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখি।
সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর আমি আমার নির্মানাধীন ভবনের সামনে দাড়িয়ে স্থানীয় নির্মান শ্রমিকের সাথে পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার বিষয়ে আলোচনাকালে সংবাদ পেয়ে উক্ত চাঁদাবাজ খালিদ মোশাররফ রঞ্জু তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে এসে পুনরায় চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার উপর লোহার রড ও হকিস্টিক রামদা নিয়া আমার বসতবাড়ি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে। আমার স্ত্রী বাধা দিলে তাকে ধাওয়া করে। সে দৌড়ে আমাদের আবাসিক ভবনে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। এ সময় তারা আমার দোকানের সাটার ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর করে এবং বসতবাড়ির জানালার থাইগ্লাস,পানির পাইপ লাইন ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।
এ ঘটনায় আমি গত ২ নভেম্বর আলফাডাঙ্গা থানায় রঞ্জুসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি।ইতি মধ্যে ৪জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রধান আসামি খালিদ মোশারফ রঞ্জু গ্রেফতার না হওয়ায় বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে জীবনশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, এমনকি এ মামলার স্বাক্ষী পাখি সর্দারের উপর হামলা চালায় মৃত ভেবে চলে যায়। আমি আমার পরিবার নিয়ে এখন প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অহিদুজ্জামান বলেন,থানা পুলিশ তৎপর দেখি না। আসামিগন আমাদের ও স্বাক্ষীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে, আমরা সাধারন জনগন আসামিদের ধরে দেওয়ার পরে গ্রেফতার করে। থানা পুলিশ ঢিলে ঢালে ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনের মাধ্যমে রঞ্জুসহ সকলের আসামিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়াম্যান এস এম মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য গোলজার আহম্মেদ সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিজাউল করিমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আমরা প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : rural.shiromoni@gmail.com, info@shiromoni.com
Notifications