রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
ক্ষেতলালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত
নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব। স্থগিত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যসহ এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত।জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়মিত কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত। আখলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আমিরা দাখিল মাদ্রাসা, পাঠান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাই দাখিল মাদ্রাসা, পৌলুঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং আটি দাশড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ও কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এবং কমিটিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও রাজনৈতিক নেতাদের আস্থাভাজন লোকদের নিয়ে কমিটি গঠনে বিভিন্ন ভাবে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার ফলে কমিটি গঠন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং সে কারনে ওই সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ।ইতিপূর্বে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্য হলেও ওই সব প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং উন্নয়নের নামে চাকরী প্রার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা মোটা অংকের অর্থ তা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির পকেটে। এসব কারনে বিপাকে পড়েছে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক কর্মচারী, বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম, চিন্তিত আভিভাবক মহল।এসবের পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, সংস্কারের নামে কিছু কিছু বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সাবার করা হয়েছে। উপজেলার শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, বিনাই দাখিল মাদ্রাসা, ক্ষেতলাল শিশু নিকেতনসহ আরো কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বড়বড় গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে অথচ ওইসব বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নতুনকরে একটি গাছের চারা রোপন করা হয়নি।এসব বিষয়ে আখলাশ শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মুনছুর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। একটি মহল ঈষার্নিত হয়ে বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে মামলা দিয়ে রেখেছে। প্রাচীর নির্মানের স্বার্থে নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ের গাছ কাটা হয়েছে।বিনাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলমান, এডহক না নিয়মিত কমিটি গঠন করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে স্বাক্ষাতে কথা বলার ইচ্ছে পোষন করেন।মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলা বা কমিটি নিয়ে নয়, নিয়োগ বিধিমালা সংক্রান্ত জটিলতায় আমার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।ইউপি সদস্য শারফুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজশে গোপনে দাতা সদস্য অন্তভূক্তি ও বিভিন্ন অনিয়মের কারনে বিনাই দাখিল মাদ্রাসার নিয়মিত কমিটি গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। শুনেছি বর্তমান এডহক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলছে।উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনে অনিয়ম চলছেই।এবিষয়ে ক্ষেতলাল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লাহ সরকারের মুঠোফনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.