জাহিদূল ইসলাম বেলাল, কুয়াকাটা প্রতিনিধি: কুয়াকাটার আলিপুর টোলসংলগ্ন এলাকার নুরজাহান (৪০)। একসময় ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন তিনি। আজ সেই নুরজাহানই দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বিছানায় শুয়ে। চোখে শুধু বাঁচার আকুতি—আর মুখে একটাই আর্তনাদ, "আমাকে বাঁচিয়ে নিন!"
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বিকল হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন তিনি। চিকিৎসার খরচ বহন করতে করতে সর্বস্ব হারিয়েছেন পরিবার। স্বামী একজন অটো রিকশাচালক—সারাদিন পরিশ্রম করেও এখন আর চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছেন না। মানুষের দয়ার ওপরই তাদের শেষ ভরসা।
পরিবারে রয়েছে দুই সন্তান। ১৮ বছরের বড় ছেলে একটি মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ছে, ছোট মেয়ে (১৪) এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের স্বপ্ন আজ মায়ের বাঁচামরার গণ্ডিতে আটকা।
নুরজাহানের স্বামী কান্না কন্ঠে বলেন, আমি সারাজীবন চালিয়েছি অটো, কখনো হাত পাতিনি। কিন্তু আজ আর কিছুই পারছি না... স্ত্রীকে বাঁচাতে মানুষের কাছে হাত বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এখন নুরজাহান নিজের গ্রামের বাড়িতে—টোল সংলগ্ন, আলিপুর, মহিপুর , পটুয়াখালী—বিছানায় পড়ে কাটাচ্ছেন প্রতিটি দিন। অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন দ্রুত ডায়ালাইসিস ও চিকিৎসা শুরু না করলে আর বাঁচানো যাবে না। এই মুমূর্ষু নারীর জীবন বাঁচাতে সামান্য সহায়তাই হতে পারে আশার আলো।
এখনই যদি আমরা এগিয়ে না আসি, হয়তো আর বাঁচানো যাবে না একজন মা, একজন স্ত্রী, একজন মানুষকে।সমাজের বিত্তবান, মানবিক ও দয়ালু মানুষদের প্রতি অনুরোধ—চলুন, নুরজাহানের জীবন যুদ্ধে পাশে দাঁড়াই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]