জাহিদুল ইসলাম বেলাল,কুয়াকাটা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে মাদকের আড্ডায় দুই বন্ধু লাল চান (২৪) ও বেল্লাল (২০) মিলে হত্যা করে বন্ধু সবুজ হাওলাদারকে। হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয় বাড়ির কাছেই বাইট গাছের ঝোপঝাড়ের মধ্যে। ৯৯৯ এ কল পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পুলিশ হত্যার সাথে জরিত লাল চান ও বেল্লালকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় সহকারী পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) সমীর সরকার মহিপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার কৃত আসামীদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানান, হত্যার শিকার সবুজ হাওলাদার ও আসামীদ্বয় উভয় মামাতো ফুফাতো ভাই। আবার তারা তিনজন বন্ধুও। গত বুধবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শরীফপুর গ্রামে আসামী লাল চান এর বাড়ির পাশে অবস্থিত গোলাম রাব্বানী কিশোর এর পরিত্যক্ত ভিটায় ফ্রি ফায়ার খেলার পাশাপাশি গাঁজা সেবন করছিল। এ সময় দেনা পাওনা ও ছবি তোলা নিয়ে আসামী লাল চান এর সাথে সবুজ হাওলাদার এর কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে আসামী লাল চান ও বেল্লাল মিলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সবুজকে। হত্যার দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার সবুজের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সবুজ হাওলাদার এর বাবা আবুল বাসার হাওলাদার বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
পুলিশ আরো জানান, নিহত সবুজ হাওলাদার এর স্ত্রীর তথ্য মতে আজ শনিবার ভোররাতে বারেক হাওলাদারের ছেলে লাল চানকে গ্রেফতার করে তারা। লাল চানের দেয়া তথ্যমতে নিজাম হাওলাদার ছেলে আসামী বেল্লালকে দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। নিহত সবুজ হাওলাদার ও আসামীদের বাড়ি পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডে বলে জানায় পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের তারা ধরতে সফল হয়েছেন। আসামীদের গ্রেফতারে মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে একটি টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা।