জাহিদুল ইসলাম বেলাল,কুয়াকাটা প্রতিনিধি: কুয়াকাটার ধুলাসার বেড়িবাঁধের ঢালে বন বিভাগ কর্তৃক সৃজনকৃত সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের গাছ কেটে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগ ও পাউবোর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে এসব দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বন বিভাগ ও পাউবো কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দায়সারা বক্তব্য দিয়েই দায়িত্ব ও কর্তব্য শেষ করছেন। নেয়া হয়নি কোন আইনী পদক্ষেপ।
সরেজমিনে জানাগেছে, পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়নের ধোলাই মার্কেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে। টেকসই বেড়িবাঁধ ও জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির সুবিধাভোগী মানুষ বেড়িবাঁধে রোপণকৃত গাছ কেটে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এতে বেড়িবাঁধের স্লপের মাটি ক্ষয়ের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকূলের রক্ষা কবজ সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী রাকিব হাওলাদার, রবিউল মোল্লা, আ: জলিল আকন, মহিম হাওলাদার ও আ: রশিদ হাওলাদার বেড়িবাঁধের ৫-৬ টি গাছ কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এসব দোকান ঘরের পজেশন ও ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হবে। যা বন বিভাগ এবং পাউবো কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও অদৃশ্য কারণে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা আরো বলেন, আমরা সমুদ্র উপকূলের মানুষ সব সময় ঝড় বন্যার সাথে যুদ্ধ করে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। সরকার ঝড় বন্যার কবল থেকে উপকূল ও উপকূলের মানুষকে রক্ষায় বেড়িবাঁধে বন সৃজন করেছে। আর সেই গাছ কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ আমাদের রোপণকৃত গাছের মধ্যে দোকান ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বাঁধা শুনছেন না।
পটুয়াখালী বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পরিদর্শন করে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট তারিকুজ্জামান তুহিন দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বলেন, দোলাই মার্কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে ফোনে তাকে স্থানীয় একজন জানিয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]