মনিরুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নদী-নালা,খাল-বিল ও ডোবাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্য প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
প্রকৃতির যেখানে-সেখানে নদী-নালা,খাল-বিল, পুকুর-ডোবাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে সবুজ পাতার মাঝে সাদা, বেগুনি ও হালকা গোলাপি রঙের কচুরিপানা ফুল যেন চাদরে ঢাকা পড়েছে। মুক্ত জলাশয়ে এসব দৃষ্টিনন্দন ফুলের সৌন্দর্য সকল পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে কিংবা কাছে টানছে। অনেকে এই সৌন্দর্যকে ক্যামেরা বন্দী করছেন। কচুরিপানা ফুলের গন্ধ না থাকলেও এর সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। দেখা গেছে উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে রাস্তার ধারে ডোবার অল্প পানিতে সাদা, বেগুনি ও হালকা গোলাপি রঙের অজস্র ফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। পাশ দিয়ে যাতায়াতের হাজার হাজার পথচারী মুগ্ধ হচ্ছে কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্যে।
উপজেলার চঁাদখান ইউনিয়নের কেল্লাবাড়ি বাসিন্দা করিম হোসেন জানায়,কচুরিপানার সৌন্দর্য ফুল ও পাতার সমাহার থেকে আসে, যা জলাশয়কে সবুজ এবং সাদা, বেগুনি ও গোলাপি রঙের ফুলে ঢেকে এক নান্দনিক রূপ দেয়। এই ফুল জলাশয়ের বুকে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় এবং এর প্রস্ফুটিত রূপ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।প্রস্ফুটিত কচুরিপানার ফুল জলাশয়ের সৌন্দর্যকে অনেক বাড়িয়ে তোলে ও প্রকৃতিতে এক নির্মল, স্নিগ্ধ ও মন মুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে।
সদর ইউনিয়নের আরেক ব্যক্তি জানান,কচুরিপানার ফুল সৌন্দর্য বিলানোর পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির নানা উপকারে আসে। এটি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ও জলাশয়ের পানি ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে থাকে। কিছু কিছু মাছ এটিকে খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করে। এটি থেকে তৈরি জৈব সার কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।