শেখইমরান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ঢাকা-খুলনা বিশ্বরোড মানেই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান আখড়ার স্থান। মাত্র ক’এক ঘণ্টার ব্যবধান, ক্রমান্বয় ঘটেগেল পর-পর প্রিথক(৩) তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা। বলছি গোপালগঞ্জ জেলার, কাশিয়ানী উপজেলার কথা।গত ১৭ জুলাই ২০২২ইং রোজ রবিবার। গোপালগঞ্জ জেলার, কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনার মহাসড়কের দোলালশাহের বাড়ী ও iভাট্টাইধোবা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে মাত্র ঘণ্টা ক’এক ব্যবধানেই ক্রমান্বয় পর-পর(৩) তিনটি বাস (ক) পালকি এক্সপ্রেস ও মাইক্রোবাস (ভোর ৪:৩০মি.).(খ) ইমাদ পরিবহন(সকাল ১০:২৫মি.) এবং(গ) বিআরটিসি এসি বাস (দুপুর১২:৪৫মি.) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়।দুর্ঘটনায় কারো প্রাণহানি না ঘটেলেও আহত হয়েছেন বেশ ক’একজন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছথেকে জানা যায়, কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ১৭/০৭/২০২২ইং তারিখে ঘটে যাওয়া আলোচিত প্রিথক (৩)তিনটি সড়ক দুর্ঘটনাই বাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাওয়ার কারনে ঘটে।ভুক্তভোগীরা জানান, মহাসড়কের সামান্য বৃষ্টিতে কাদা উঠে আশা ও মহা সড়ক সংস্কারের জন্য ব্যবহৃত পিচ বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হাওয়ায় ড্রাইভাররা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হন।বিজ্ঞ স্থানীয় ড্রাইভারেরা জানান, মহাসড়কের কিছু কিছু অংশের পিচ উঠে গর্ত ও রাস্তা ডেবে যাওয়ায় পূর্ণ সংস্কারের জন্য রাস্তার উপরে লিকুইড পিচের প্রলপ দিয়ে লাল বালু ছিটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ী চলাচলে লাল বালু পিচে তলিয়ে যাওয়ায় বা সরে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কনো গাড়ী বৃষ্টির সময় ব্রেক কষলে সে তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।