রাসেল শেখ,কালিয়া, নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইলের কালিয়া কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রাইভার মোঃ খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বেপরোয়া এম্বুলেন্স চালিয়ে লেগুনার ক্ষতিসাধন, রুগীদের সাথে অশোভন আচারন সহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ওই ড্রাইভারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৬ অক্টোবর (সোমবার) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কালিয়া লেগুনা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ মিশুক শেখ।
এছাড়া এ অভিযোগের অনুলিপি ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, পরিচালক প্রশাসন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন ও কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৬ টি দপ্তরে পাঠিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই এম্বুলেন্স ড্রাইভার কালিয়া থেকে খুলনা যাবার সময় বেপরোয়া গাড়ী চালিয়ে ৫টি লেগুনার লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে ফেলেন এবং এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ক্ষতি গ্রস্তদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। তিনি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স মাঝে মাঝে বহিরাগত চালক দিয়ে চালান যার প্রমান অভিযোগের সাথে দাখিল করেছেন বলে জানান মিশু শেখ।
চলতি বছরের মার্চ ‘ মাসের ২৩ তারিখে রাত ১০ টার দিকে কামাল নামে শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সদস্য স্ট্রোক করিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সেই লাশ বহন করে খায়রুল ৭ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। এ ভাবে সকল রুগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আাদায় তার পেশায় পরিনত হয়েছে। ড্রাইভার খায়রুল ইসলাম অত্র হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া গাড়ী চালিয়ে দুই বার মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটির ব্যপক ক্ষতি সাধন করেছে। এ ছাড়া রোগী পরিবহণ বাবদ ভাড়ার কোন রশিদ দেন না খায়রুল ইসলাম। দুর্নীতিবাজ ওই ড্রাইভারের এ হেন কার্যকলাপ থেকে পরিত্রান চায় সচেতন উপজেলা বাসী।
অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামের সাথে কথা হলে অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, কোন লেগুনা ড্রাইভারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়নি এবং লাশ বহন করে ৭ হাজার টাকা নেননি। রশিদ বহি শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি রশিদ দিচ্ছেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃশোয়াইব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং এ বিষয়ে অভিযুক্ত কে শোকজ করা হয়েছে তিনি জবাবও দিয়েছেন। তবে দেশব্যপী টাইফয়েড টিকা দানের ক্যম্পেইনে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। এটা শেষ হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।