মোঃরাসেল শেখ,কালিয়া নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডার মিনহাজুলের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ১৬ গ্রেডের চাকরি করে কয়েক বছরের ব্যবধানে বনে গিয়েছেন কোটি টাকার সম্পত্তি মালিক। ষ্টোর কিপারের দায়িত্বে থাকাকালীন নড়াইল শহরের পুরাতন পাসপোর্ট অফিসের পাশে কোটি টাকার সম্পত্তি ৫ শতাংশ জমি কিনেছেন নিজের ও শাশুড়ীর নামে এবং চারতলা ভবনের কাজ রয়েছে চলামন। ওই দায়িত্বে থাকাকালীন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, হাসপাতাল ভবনের লোহার পাইপ, বিদ্যুতের খুঁটি, জি আই পাইপ, মোটর পাম্প, ফ্যান সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও সরকারি ঔষধ বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি কোয়ার্টারে থাকলেও প্রভাব খাঁটিয়ে পরিশোধ করেননা ধার্য্যকৃত ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরো জানা যায়, সরকারি চাকরি থাকা সত্ত্বেও পরিচিত ভাইয়ের লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজেই হাসপাতালের রোগীদের জন্য ডায়েট, ধোলাই কাজ এমনকি স্টেশনারি ঠিকাদারীর কাজও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের আউটসোর্সিং কাজের ঠিকাদার ও টাউন মেডিক্যাল সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান তার বিয়াই হওয়ার সুবাদে জনবল নিয়োগের কাজটি বাগিয়ে নিয়ে প্রতিটি কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মিনহাজুল। এ ঘটনায় কয়েক মাস পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কালিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দুর্নীতিবাজ কম্পাউন্ডার মিনহাজুলে শাস্ত দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে কম্পাউন্ডার মিনহাজুল ইসলাম এর কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তবে, নড়াইল শহরে জায়গা ও বাড়ির বিষয়ে তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যুতের খুঁটি, মোটর সহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]