নড়াগাতি থেকে মনিরুজ্জামান চৌধুরী: নড়াগাতীর সরসপুর-পহরডাঙ্গা’র শত বছরের ও পূরনো ঈদগাহ ও কবরস্থান বিলীন প্রায়-হারিয়ে যেতে বসেছে মধুমতি নদীগর্ভে, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার বড় দুটি গ্রাম পহরডাঙ্গা ও সরসপুর, যেখানে রয়েছে হাজারও মানুষের বসবাস, এ প্রাচীনতম জনপদের রয়েছে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য, তেমনি রয়েছে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ ও এলাকার মানুষের শেষ ঠিকানা কবরস্থান, ঈদগাহ ও কবরস্থানের দক্ষিন পাশ্বে রয়েছে চাপাইল-কালিয়া প্রধান সড়ক ও উত্তর পার্শ্বে রয়েছ বহমান মধুমতী নদী, দীর্ঘদিন মধুমতী নদীর ভয়াবহ গ্রাসে হারিয়ে যেতে বসেছে ঈদগাহ ও কবরস্থান।
স্থানীয়রা জানায়, আমরা কয়েক পুরুষ ধরে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এক সাথে এ ঈদগাহে ঈদের নামাজ একত্রে আদায় করে থাকি দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ও নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ঈদের নামাজ একত্রে আদায়ে অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তেমনি ঈদগাহ সংলগ্ন অনেক পূরনো পূর্বপুরুষের কবরস্থান ও হারিয়ে যেতে বসেছে নদীগর্ভে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, দীর্ঘদিন নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঈদগাহ ও কবরস্থানের অনেকাংশই নদীগর্ভে চলে গেছে কিন্তু নদী ভাঙ্গন রোধে আদৌ কর্তৃপক্ষের (পাউবি) নজরে পড়েনি, ঈদগাহ ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সিকদার আহসান আলী (লাব) জানান, আমরা এলাকাবাসী একাধিকবার ব্যক্তি উদ্যোগে নদীতীর বেঁধে গাছ লাগিয়েছি তবে সেখানের গাছ লাগানো কারনে কিছু ভাঙ্গন রোধ হলেও আবার নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে আর এভাবে নদীর পাড় ভাঙ্গতে থাকলে হয়ত অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ঈদগাহ ও কবরস্থান। স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙ্গন প্রবল আকার ধারন করেছে আমরা অচিরেই পাউবি নড়াইল বরাবরে ভাঙ্গন রোধে যথাযথ পদক্ষেপের জন্য লিখিত আবেদন করব ও স্থানীয়দের নিয়ে মানবিক মানববন্ধন করব।