উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ৯ বছর পর ফাইনালে উঠেছে চেলসি। বুধবার দিবাগত রাতে সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে ২-০ গোলে (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১)। এর মধ্য দিয়ে অল ইংলিশ ফাইনাল নিশ্চিত হলো। আগামি ২৯ মে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি।
এর আগে সবশেষ ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল চেলসি। এরপর গেল ৯ বছরে আর ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। অবশেষে থমাস টাসেলের হাত ধরে প্রার্থিত ফাইনাল নিশ্চিত করলো তারা।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের জন্য চেলসির পাশাপাশি বড় বাঁধা ছিল তাদের কোচ টাসেল। জার্মান এই কোচের বিপক্ষে জিনেদিন জিদান কখনোই জিততে পারেননি। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচবারের দেখায় হয়েছিলেন পরাজিত। ষষ্ঠবারেও পারেননি সেই পরিসংখ্যান বদলাতে।
ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে রাতে চেলসি প্রথমার্ধে একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করে। রিয়াল বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও সেগুলো থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৮ মিনিটেই বেন কাহিলের ক্রস থেকে জালে বল জড়িয়েছিল চেলসির টিমো ওয়ার্নার। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। এরপর করিম বেনজেমা গোল করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু তার নেওয়া শট চেলসির গোলরক্ষক ইডুয়ার্ডো মেন্ডি বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।
২৮ মিনিটের মাথায় লিড নেয় চেলসি। এ সময় ব্লুজদের কাই হাভেটজ রিয়ালের গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল পাস করেন। কিন্তু সেটি বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরে আসা বলে হেড দিয়ে ফাঁকা পোস্টে জড়ান ওয়ার্নার। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংলিশ ক্লাবটি।
বিরতির পর চেলসি আরও উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করে। সে তুলনায় রিয়াল ছিল কিছুটা নির্জীব। সুযোগ তৈরি করে চলে চেলসি। ৮৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এ সময় ডানদিক থেকে পুলিসিক বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন ম্যাসন মাউন্টকে। তিনি কাছ থেকে ডান পায়ের শট বল জালে পাঠান। তাতে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। ৯ বছর পর নিশ্চিত করে ফাইনাল।