ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। আগামী সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়ে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে যুক্তরাজ্যের স্থল, নৌ ও আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। পাশাপাশি তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বরিস জনসন বলেন, করোনার ভ্যাকসিন আশা দেখাচ্ছে। তবে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের কারণে ঝুঁকি বাড়ছে। করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় আমাদের এখনই অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই সপ্তাহের শুরুতে একদিনে হাসপাতালে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হয়েছে। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাত ‘নজিরবিহীন চাপে’ আছে।
গত মঙ্গলবার ৪ হাজার ১৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। যেখানে দেশে মোট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার।
করোনা শনাক্তের সংখ্যাও হু হু করে বেড়ে চলেছে। গত শুক্রবার ৫৫ হাজার ৭৬১ জনের করোনা ধরা পড়ে। আগের দিন করোনা শনাক্ত হয় ৪৮ হাজার ৬৮২ জনের।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭ হাজার ২৯১ জনের।
এই ট্রাভেল করিডোর চালু হওয়ার ফলে কোনোরকমে হলেও ব্যবসা চালাতে পারছিল পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পরিবহন ব্যবসার দেশ যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো।