জানুয়ারির মধ্যে ভারত থেকে করোনার টিকা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ২৫-২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভারত থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম লট আসবে। এর মধ্যে ভারত সরকার কিছু ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে পাঠাবে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন ২৫-২৬ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে। ভারত সরকার আমাদের কিছু টিকা উপহারস্বরুপ দেবে। সেটিও আমরা আশা করছি যে কোনো সময় চলে আসবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যারা টিকা তৈরি করছে যেমন রাশিয়া, সানোফি, মর্ডানা, ফাইজারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টিকা আসবে।
ভারত থেকে কী পরিমাণ টিকা আসছে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ভারত কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দিচ্ছে সেটার সংখ্যা এখনই বলতে পারব না। তবে সেটি বেশ ভালো পরিমাণ। অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে। প্রথম লট পাওয়ার আগেও উপহারের ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছে, সুতরাং যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় সরকারই তার চিকিৎসা দেবে। তা ছাড়া ভ্যাকসিন দেবার কেন্দ্র হবে সরকারি বেসরকারি-হাসপাতাল। তারা এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত। এই নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’
মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা করোনা যেভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ঠিক সেভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফল হব। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রায় ৪২ হাজার জনকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, মাস্ক একটা কার্যকর ব্যবস্থা এটা কেউ জানত না। আমরা ক্যাম্পেইন করেছি, সার্ভিস পেতে হলে মাস্ক পরতে হবে। নো মাস্ক নো সার্ভিস- পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি, উনি আনন্দের সঙ্গে তা অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে প্রাইভেট সেক্টরও ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ চালু করেছে। যা খুব কার্যকর হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনা ও বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিবেচনায় সাংবাদিকরাও আগে আগেই ভ্যাকসিন পাবেন।’
অনুষ্ঠানে ডিআরইউয়ের সদস্যদের একটি তালিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ তালিকার সব সদস্যই ভ্যাকসিন পাবেন বলে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সে সময় ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান সদস্যদের পক্ষে মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।