মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে, দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে পতিত থাকা ১০ একর সরকারী খাস জমিতে, দেশের
সর্ববৃহৎ সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা যায়, গোপালপুর পৌর শহরের ভুয়ারপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদি খাস জমিতে, উপজেলা কৃষি অফিসকে চাষাবাদের পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক, ইউএনওর পরামর্শে বৃহত্তর এই সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার।
গত ১৯শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দীন হায়দার উক্ত মাঠ পরিদর্শন করে এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, কিছু দিন আগে বপন করা বীজে চারা গজিয়ে প্রতিটি গাছ ৭/৮ ইঞ্চি লম্বা হয়েছে, ধীরে ধীরে দিগন্ত জোড়া মাঠ সবুজে ছেয়ে যেতে শুরু করেছে। বপন করার পর পরিপক্ক হতে ৯০ থেকে ১১০ দিন প্রয়োজন হবে।
বসন্ত আসছে, এর মাঝেই ফুটতে শুরু করবে সূর্যমুখী ফুল, মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা মিলতে পারে সৌন্দর্য প্রেমীদের । তবে সৌন্দর্য প্রেমীদের ভীড়ে এই বৃহৎ বাগান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সূর্যমুখী উৎকৃষ্ট তেল জাতীয় ফসল। সূর্যমুখীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ উপকারী লিনোলিক এসিড রয়েছে এবং ক্ষতিকর ইরোসিক এসিড নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে আমরা পতিত খাস জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি, সূর্যমুখীর চাষ বাড়ালে তেল আমদানি খরচ কমে আসবে পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়লে গোপালপুরের মানুষের বিনোদনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।
ইউএনও মো. পারভেজ মল্লিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতেই, দীর্ঘ ৭০বছর ধরে পতিত থাকা ১০একর খাস জমি চাষাবাদের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসকে পরামর্শ দেই, সে অনুযায়ী সফলতার দ্বারপ্রান্তে আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও আমরা পতিত রাখবো না।