এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: নব-জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবি আদায়ের আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলার নব-জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নব-জাতীয়করণকৃত সকল শিক্ষকগণের টাইমস্কেল, উন্নীতস্কেল, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে শিক্ষকগণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ফতেখাঁ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ বদিউল কারেমিন বলেন ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ শিক্ষক শিক্ষিকাগণের চাকুরি বিধি মোতাবেক জাতীয়করণ করা হয়। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয় ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর অধিগ্রহণকৃত বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণের তালিকাসহ পদ-পদবি উল্লেখ করে আরও একটি পরিপত্র জারি করেন। পরে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি প্রাথথিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রানালয় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণের সরকারি বেতনস্কেল অনুযায়ী আর্থিক প্রাপ্যতা প্রদান প্রসঙ্গে একটি পরিপত্র জারি করেন। একই সালের ৯ মার্চ অপর একটি পরিপত্রে জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকগণকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নিতকরণ করা হয় এবং সেই অনুপাতে বেতনস্কেল প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত/আত্তিকৃত শিক্ষকগণের চাকুরিকাল গণনা করে বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয় ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর সকল জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণের টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড ও পিআরএল মঞ্জুরী করার নির্দেশনা দিয়ে আরও একটি পরিপত্র জারি করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একটি পরিপত্রের মাধ্যমে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণের তালিকা প্রণয়ন এবং পদ-পদবি উল্লেখসহ ১ম/২য়/৩য় টাইমস্কেল প্রদানের অনুমতি প্রদান করেন। যার আলোকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নব-জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণ ১ম/২য়/৩য় টাইমস্কেল গ্রহণ করেছি। পরে ২০১৮ সালের ৩ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান শিক্ষকগণকে উন্নীত স্কেল প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথথিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রানালয় একটি পরিপত্র জারি করেন। পরিপত্রে নব-জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণের বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য বরাদ্দপত্র নির্ধারিত ছক আকারে প্রেরণের জন্য উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবুও বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। উপরোক্ত পরিপত্র, নির্দেশনা, প্রজ্ঞাপন, গেজেট ইত্যাদি থাকা সত্বেও নব-জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণ বকেয়া বেতন-ভাতা তেকে বঞ্চিত হয়েছে। অতিদ্রুত বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনে নব-জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আনিছুর রহমান, আজাহার আলী, যোগেন্দ্র নাথ বর্মন, আলতাব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৫/১৬ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।