আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন করে চলেছে। মানুষ এ সরকারের কাছে আরও উন্নয়ন চায় বলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে চার দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, মানুষ উন্নয়ন চায় বলেই আওয়ামী লীগের প্রর্থীগণ বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে। বিএনপির প্রার্থীরা যেখানে সক্রিয় এবং জনপ্রিয় ছিলো সেখানে তারা বিজয়ী হয়েছে। এমনকি তাদের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীও বিজয়ী হয়েছে। এখন কোনো দোষ খুঁজে না পেয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি বলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কারনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। জনগণের কাছে বিএনপি কি বলে ভোট চাইবে, তাদের তো বলার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাস আর মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া তাদের জনগণের কাছে আর কি বা বলার আছে? ভোট কেন্দ্রে না এসে, প্রচার না চালিয়ে বিএনপি ভোটারদের আস্থা হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় উন্নয়নের বিজয়। বিপুল ভোটের ব্যবধান বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে জনগণের প্রত্যাখ্যান।
পৌর নির্বাচনের এ বিজয় উগ্র সা¤প্রদায়িকতা তোষণ এবং পোষণের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ব্যবধান এবং বিজয় থেকে বিএনপি ভবিষ্যতে শিক্ষা নেবে।
পৌর নির্বাচনের পরে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যুর ঘটনায় ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে বলেন, অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সংঘাত ও হানাহানি এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছি।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, কর্মদক্ষতার পাশাপাশি জীবনদক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ফায়ার সেফটিসহ অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন জীবন দক্ষতার জন্য সহায়ক হবে। নিজেরা প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশে অগ্নি নিরাপত্তা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, উদ্ধার তৎপরতা, নিজের সুরক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল হতে হবে। আগুন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন দুর্যোগে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সবার মনে রাখতে হবে শুধু নিজে বাঁচার জন্য নয়, নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে অন্য ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা এবং জীবন রক্ষাই হতে হবে প্রধান লক্ষ্য।