বাতেন,শরিয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে আমেনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহ’বধূকে কুপিয়ে-হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বামী নজরুল ইসলাম মাদবরকে (৪০) গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। মরদেহ-উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ১00 শয্যার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড় ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ায় এই হত্যা-কাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম মাদবর মালয়েশিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সেখানে ছাদ থেকে পড়ে তার ২টি পা-ভেঙে যায়। সুস্থ হয়ে করোনা-মহামারির সময় ৭ মাস আগে দেশে চলে আসেন। স্ত্রী’সহ তিনি শরীয়তপুরের বাড়িতেই থাকতেন। ছেলে নয়ন ঢাকার এক মাদরাসায় পড়াশোনা করে। সে ঢাকায় থাকে।
এই বিষয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ১৫ বছর আগে ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত-হোসেন মাদবরের ছেলে নজরুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই ইউনিয়নের গঙ্গেসকাঠি গ্রামের মৃত-আজিদ আলী মাদবরের মেয়ে আমেনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের নয়ন মাদবর নামে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। হত্যা-কাণ্ডের সময় নজরুল ইসলামের এক’তলা ভবনের কক্ষে তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। এ সুযোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুড়াল দিয়ে কু’পিয়ে আমেনাকে-হত্যা করেন।
হত্যার-পর ফেসবুক লাইভে আসেন নজরুল। লাইভে তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে খাটের ওপর তোশক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখান। লাইভ দেখার পর বিষয়টি জানাজানি হলে নজরুল ইসলামের মা আনার কলি (৮০), ভাগনি সোহাদি আক্তার (২৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আছিয়া বেগম’সহ (২৩) প্রতিবেশীরা দরজা-পেটাতে থাকেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম দরজা খোলেননি। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এসে দরজা খুলে তাকে গ্রে’প্তার করে এবং আমেনা বেগমকে উদ্ধার-করে।
অপরদিকে আবু তাহের মাদবর, ফজলে মাদবর’সহ এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, আমেনা খুবই ভালো একজন নারী ছিলেন। আর নজরুল একজন মাদকা’সক্ত। তারা অপরাধীর দৃষ্টান্ত’মূলক শাস্তি দাবি করেন। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, স্ত্রীকে কুপিয়ে-হত্যার দায়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তা’র করা হয়েছে। লাশ-মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার-প্রস্তুতি চলছে।