মিন্টু কান্তি নাথ রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধি : সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে রাজস্থলী উপজেলাসহ তিনটি ইউনিয়নে ‘সামাজিক-সম্প্রীতি’ কমিটির সভা উপজেলা ও ইউনিয়নে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (সেপ্টেম্বর) সকালে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা। সভায় বক্তব্য রাখেন বাঙ্গালহালিয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক সুমন মুরসুদ্দি,,বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখ্যাইমং চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা থানার এসআই অন্তু বড়ুয়া,আবু জাফর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইউপি সদস্য থোয়াইসিমং মারমা,বাঙ্গালহালিয় বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সেন, ছালমা আক্তার, বাপ্পী দেব, ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিলন, শিমুল দাস, কামাল হোসেন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা নুরুল আমিন, ইসলামীক ফাউন্ডেশন সাধারণ কেয়ারটেকার আকবর আলী,সভায় আরো বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ। কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা
বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়।
অন্যদিকে সমাপ্রীতি- ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না।
তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে দেশের সব জেলা-উপজেলায় ‘সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’ গঠনের ন্যায় ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করবেন। ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাবেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।