বোয়ালমারী প্রতিনিধি : মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দেওয়ার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ । সেই শৈশব থেকেই এ পথে তার বিচরণ। সক্রিয় রাজনীতিতে তখন যুক্ত না হলেও সামাজিক নানা উদ্যোগে ছিলেন সামনের কাতারে। অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে তরুণ বয়সেই হয়ে গেছে তরুণদের নেতা। ফরিদপুরে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন তরুণদের সচেতনতা বৃদ্ধি আর তাদের উন্নয়নের জন্য। সেই যে ছুটে চলা শুরু হয়েছে, এখনও থামেনি। কৈশোর বয়সে শুরু, এখনও তিনি মানব সেবায় নিয়োজিত । ফরিদপুরের নানা মানুষের আর্থ সামাজিক মুক্তির জন্য নিরবধি কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের অহংকার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ।
পারিবারিকভাবেও সমৃদ্ধ সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ এর পরিবার। ফরিদপুরে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা সৈয়দ মাসুদ হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি ফরিদপুর সদরে নিজ হাতে অস্ত্র তুলে যুদ্ধ করেন। সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ এর পরিবার স্বাধীনতার আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিপত্তি আর ক্ষমতা থাকলেই জনসেবা করা যায় না। জনসেবা করার জন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও সুন্দর একটি মন। জনসেবার ইচ্ছা থাকলে একজন মানুষ অনেক টাকার মালিক না হয়েও তার শ্রম ও মেধা দিয়ে জনসেবা করতে পারে। কিন্তু সুন্দর মনের অধিকারী না হলে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও জনসেবা করা সম্ভব নয়। অর্থসম্পদ বা প্রতিপত্তি আর ক্ষমতার লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে যারা সমাজের অবহেলিত ও অসহায় মানুষের পাঁশে এসে দাঁড়ায়, তাদের নাম লোক সমাজে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে হয় না। তারা উজ্জল নক্ষত্রের মত আকাশে ঝলমল করে। তেমনি একজন মানুষের কথা বলছি, তিনি হচ্ছেন সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ।
সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ এর পিতা ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং মা আইভি মাসুদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। সৈয়দ মুয়ীদ হাসান মানব সেবার পাশাপাশি যুবলীগকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ একজন সাধারন মনের মানুষ। যার চিন্তা চেতনা শুধু মানব সেবা করা ও তিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রান। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। সেই লক্ষে সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ এলাকার মানুষকে একত্রিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া লক্ষে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে এলাকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে তিনি একাধিক সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচনে এলাকার গরীব, দু:খী, অসহায় দারিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। উন্নয়নের পাশাপশি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন।
সৈয়দ মুয়ীদ হাসান আসিফ বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠেছি। আমার লক্ষ্য যুব সমাজকে সাথে নিয়ে ফরিদপুরে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনায়ন এবং বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনার বীজ যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জননেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কাজ তরুণ ও যুবকদের নিয়ে সম্পাদন করা। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে হবে মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন এর জন্য, নিজের স্বার্থের জন্য নয়।