শেখ তোফাজ্জেল হোসেন খুলনা সিটি প্রতিনিধিঃ খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামে আলোচিত ট্রিপল হত্যাকান্ডের এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত চার্জশীট প্রদান না করায় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে ব্যার্থ হওয়ায় মশিয়ালী গ্রামবাসী নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার মশিয়ালী গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ থেকে বক্তারা নতুন করে আন্দোলন কর্মসুচির মাধ্যমে দাবী আদায়ের ঘোষনা দেন। আছরবাদ মশিয়ালী দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে মিছিলটি শুরু করে খুলনা যশোর মহাসড়কের আটরা শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইষ্টার্ণ গেটে এসে সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিক নেতা আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম, এস এম বখতিয়ার পারভেজ, কমরেড মোল্যা আব্দুস সাত্তার, শেখ তবিবুর রহমান, আব্দুল জালাল গাজীসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, খুলনার সব থেকে আলোচিত হত্যাকান্ড মশিয়ালীর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা। ঘটনার পর বৃহত্তর আন্দোলনের মুখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার সহ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আশ^াস দিলেও বাস্তবে এখন তা দেখা যাচ্ছেনা। ঘটনার এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিতে ব্যার্থ হয়েছে। বক্তারা বলেন হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইডসহ জড়িত অধিকাংশ সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। বর্তমানে তারা জামিনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। অবিলম্বে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চার্জশীটসহ দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে চার্জশীট সহ দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে মশিয়ালী গ্রামবাসী কঠোর কর্মসুচি নিয়ে আবারও রাজপথে নামবে। এদিকে মশিয়ালীর আলোচিত ট্রিপল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মাষ্টার মাইডরা জামিনে বেরিয়ে আসছে এমন গুঞ্জন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় মামলার বাদীসহ এলাকাবাসী হুমকির মুখে আতঙ্কেও মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।উল্লেখ্য মশিয়ালী গ্রামে একটি মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই জাকারিয়া ও তার দুই ভাই জাফরিন ও মিল্টন মুজিবর নামের এক শ্রমিককে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী জাফরিনের বাড়ীর সামনে আসলে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টনগং। গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মিল শ্রমিক নজরুল ইসলাম, দিনমুজুর গোলাম রসুল এবং হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যায় গুলিবিদ্ধ কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম। এই ঘটনায় নিহত সাইফুলের পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলায় শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই শেখ জাফরিন ও মিল্টনসহ ২২জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬জন আসামী করে মামলা করে (খানজাহান আলী থানায় মামলা নং-১২, তাং ১৮/৭/২০)।