ভারত উপহার হিসেবে করোনাভাইরাসের যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে, তা বুধবারই বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসব ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিএমএসডি, ইপিআই এবং তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।
খুরশীদ আলম জানান, সরকারের কেনা ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর সব জেলায় একসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু ভ্যাকসিন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক সপ্তাহ পর সব জেলায় শুরু করা হবে। এটিই আমাদের পরিকল্পনা।
সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হবে, সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।
ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কখন কাকে দেওয়া হবে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, এখনো এ বিষয়ে নির্দেশনা পাইনি। মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে জানাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসেন। ভারত থেকে আসা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
এর বাইরে উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকনির ভারত পাঠাচ্ছে, তাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকনির। মহামারীর সংকটে প্রতিবেশী দেশের জন্য শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এ ভ্যাকসিন ভারত দিচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]