1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

ভবদাহ অঞ্চলে ৫০৩ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে ইপিজেড : ভাগ্য বদলাবে ১০ লাখ মানুষের

জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১
জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের দুঃখ ভবদাহের জলাবদ্ধ এলাকায় নব দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যশোরে ইপিজেড স্থাপন করা হচ্ছে। জেলার অভয়নগর উপজেলার রাজাপুর মৌজার বিল ঝিকরার এই অংশে ইপিজেডের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইপিজেড চালু হলে দুই লাখ বেকারের কর্ম সংস্থানের পাশাপাশি  প্রত্যক্ষ  ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের ভাগ্য বদলের দ্বার উম্মোচিত হবে। এছাড়া স্থানীয় মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচনের আশা করা হচ্ছে।সূত্র মতে, যশোরের ভবদহ এলাকার বিল ঝিকরা ও ধলের বিল। ২০ বছর ধরে এই বিল দুটি জলাবদ্ধ। ফলে ধান চাষ হয় না এখানে বললেই চলে। কয়েক শত কৃষকের জমি এই বিলের পানির নিচে পড়ে আছে। জলাবদ্ধ এই বিলসহ আশপাশের অকৃষি জমি অধিগ্রহণ করে ৫০৩ একর জমির উপর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই ইপিজেডের কারনে একদিকে যেমন সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত হবে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বানিজ্য। সেই সাথে দুঃখ ঘুচবে ভবদহ অঞ্চলের জলবন্দী লাখ লাখ মানুষের। অপরদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে অন্তত দুই লাখ মানুষের। আর সেখানে প্রাধান্য পাবে ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধ এই বিলসহ আশপাশের অকৃষি জমি অধিগ্রহণ করে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল যশোর ইপিজেড’ নির্মাণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেই সাথে এ অঞ্চলের জমি অধিগ্রহন করতে জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। আর পরোক্ষভাবে নওয়াপাড়াসহ অভয়নগরের ব্যবসা বাণিজ্যের বিস্তৃতি ঘটার মাধ্যমে ১০ লক্ষাধিক লোক দেখবে নতুন স্বপ্ন। এক কথায় যশোর ইপিজেড নির্মাণের ফলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের চিত্র। সেই সাথে মোংলা ও বেনাপোলের সাথে সরাসরি সংযোগ ঘটিয়ে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র বদলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ফলে সমৃদ্ধির এক নতুন পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে বলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের মানুষ। যশোর ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল কবির স্বাক্ষরিত চিঠি জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে । চিঠিতে বলা হয়েছে, যশোর জেলায় শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া এলাকায় চাষাবাদ অনুপযোগী জলাবদ্ধ খালে যশোর ইপিজেড স্থাপন করা হবে। এ জন্য অভয়নগরের মাগুরা, রাজাপুর, প্রেমবাগ, চেঙ্গুটিয়া, আরাজি বাহিরঘাট, বালিয়াডাঙ্গা, মহাকাল ও আমডাঙ্গা মৌজার ৫০৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান আমাদের প্রতিবেদক জেমস আব্দুর রহিম রানা বলেন, ভবদহ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন বিধি মোতাবেক ভূমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীন বলেন, যুগ যুগ ধরে যশোরের দুঃখ হয়ে আছে ভবদহ। বিলপাড়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্থ। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন ইপিজেড স্থাপিত হলে এই এলাকার অর্থনীতির চাকা আবার সচল হবে। ভবদহের স্লুইসগেট গেটে পলি জমে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে ধলের বিলসহ দক্ষিণের প্রায় ২৭টি বিলের পানি জমে আছে। এসব বিলপাড়ের মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। কৃষিজমি পানির নিচে থাকায় হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। বিলে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে, শাপলা ও কলমি শাক তুলের হাটেবাজারে বিক্রি করে কোনোরকমে মানুষ দিনযাপন করছেন। এই এলাকায় ইপিজেড স্থাপিত হলে লাখো মানুষ কাজ পাবে। ইপিজেডের কারখানা মালিকেরাও সস্তায় শ্রমিক পাবেন। এতে উভয় লাভবান হবে।অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, এটা অত্যান্ত আনন্দের খবর এলাকাবাসির জন্য। কারন এ অঞ্চলের জমিজমা বছরের অধিক অংশ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। চাষাবাদ করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করে। এতে করে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হয়। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে যেমন বেকার সমস্য লাঘব হবে তেমনি অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি হবে এ অঞ্চলের মানুষ।ইপিজেড স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল কবীর বলেন, যশোর ইপিজেড স্থাপনের জন্য ৫০৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য যশোর জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে। যশোর ইপিজেড, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাভারের ইপিজেডের মতোই হবে। এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ভবদহপারের অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার রূপ বদলে যাবে। তারা নতুন নগরায়ণের ছোঁয়া পাবেন। এই প্রকল্প ঘিরে ওই এলাকার নদী ও খাল-বিলেরও উন্নতি ঘটবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকেও আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
Facebook Comments
৬ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি