মাহমুদ পলাশ ,বেনাপোল থানা প্রতিনিধি : বেনাপোল পোর্টথানার আওতাধীন ০৩ নং বাহাদুরপুর বাওরের জমি দখল করে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন এক ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন স্থানীয় নেতা মফিজুর রহমান এর মাছের ঘেরের মধ্যে হতে বালু উত্তোলন করে পাহাড় সমান উচু স্টক করে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রয় করা হচ্ছে। তাছাড়া বাওর সংলগ্ন মাছের ঘের হওয়ায় বাওরের জমি দখল করে ঘের বানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাতের সময় ঘেরের মধ্যে ডোজার বসানো সেখান থেকে হাফ কিলোমিটার এর বেশি পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা উক্ত ঘেরের মালিক মফিজুর রহমান কে বালু উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে? তিনি জানান, বালু আগে থেকে উত্তোলন করে রাখা আছে এখন আর তুলি না। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আপনাদের যা ইচ্ছা লিখেন আমার কোন ব্যাপার না। এব্যাপারে উক্ত ঘেরের পাশ্ববর্তী জমির মালিকদের সাথে কথা বললে, জমির মালিকেরা ভয়ে কথা বলতে নারাজ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জমির মালিকারা জানান, ইতি মধ্যেই ধান চাষের জমিতে পানি থাকছে না এবং বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সহস হয় না, তাই নিরব কান্না ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের।
এ বিষয়ে বাহাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘের থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বিষয়টা আমি জানি কিন্তু কিছুই করার নেই। তাছাড়া শুধু ঘের না আরও জাইগা থেকে বালু উত্তোলন করছেন মফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসির অনেকে বলেন দ্রুত এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে না পারলে, আগামীতে সার্বিক উৎপাদন ও বাওর ভাঙনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন । উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দু-একটি জরিমানা করলেও, কার্যত কার্যকারী কোন পদক্ষেপ জনগণ পাচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে পুকুর/নদী/খাল/বিলের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সেতু, কালভাট, বড় ব্রিজ স্থপনার ১ কিলোমিটারের মধ্যে কোন বালু উত্তোলন করা যাবে না।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাসনা শারমিন মিথি সাংবাদিকদের বলেন, বাহাদুরপুরে বাওরের পাশে বালু উত্তোলনের ১টি অভিযোগ পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে, সাধারণ মানুষ আরও অনেক অভিযোগ করবে এবং আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।