নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিভিন্ন সরকারের সময়ে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সেটা থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি।
রোববার সচিবালয়ে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে যখন আইনের শাসনকে পদদলিত করা হয়, তখন এই ধরনের বিষয়গুলো প্রশ্রয় পায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দালাল আইনে যাদের বিচার হচ্ছিল, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ধর্ষণকারীদের বিচার করা হয়নি। বিচারহীনতার কারণে বাংলাদেশে এই ধরনের একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি।’
‘যারা এই ধরনের অপরাধ করেছিল, তারা মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে। তারা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক হওয়ার চেষ্টা করেছে। আজকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই ধর্ষক, অপরাধী ও খুনিদের বিচার হয়েছে।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গত তিন মেয়াদের সরকার অপরাধীদের ছাড় দেয়নি জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণ ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত আমরা কোনো কিছুই লুকাইনি। তাদেরকে জনসম্মুখে এনেছি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এই ব্যাপারে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, এই (নারী নির্যাতন) আইন আরও শক্ত করা হচ্ছে। আগামী ক্যাবিনেটে তিনি উপস্থাপন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সরকার অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকায় আছে। যেকোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। বিচার করার মধ্য দিয়ে যখন বিচার করার একটা সংস্কৃতি পুরোপুরি গড়ে উঠবে, তখন অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতে পিছিয়ে যাবে। তখন এই বিষয়গুলো আমাদের জন্য আরও স্বস্তিদায়ক হবে।’
নৌবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি নতুন নৌপ্রধান হয়েছেন। নৌবাহিনীর অনেক সদস্য আমাদের এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কাজ করছেন। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। এই বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের কথা হয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট নিই। সেক্ষেত্রে তিনি (নৌবাহিনী প্রধান) খোলামেলাভাবে বলেছেন, এই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য নৌবাহিনীর পক্ষ যেকোন ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সেই সহযোগিতার ব্যাপারে তারা সচেষ্ট থাকবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আমরা সবাই সমন্বিতভাবে একই ছাতার নিচে কাজটি করতে চাই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]