উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া,বাগেরহাট)প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
সমগ্র বাংলাদেশে ৮৮ হাজার শিশু ফোরাম প্রতিনিধিরা নিরলস ভাবে শিশুদের অধিকার আদায় ও নিজ-নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম।করোনা মহামারীতেও তাদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।সমাজ ও শিশু উন্নয়নে বড়দের সাথে কাজ করেছে সমান তালে।সমগ্র বাংলাদেশের ৪ টা রিজিওনালে ভাগ করা হলেও প্রতিটি ফোরামের কাজের প্লাটফর্মটা যেন একি রকম।দেশের অন্যান্য শিশু ফোরামের মতো বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা শিশু ফোরামের কার্যক্রম দেখেই উপলব্ধি করা যায় আজকের শিশু যে আগামী দিনের ভবিষ্যতের বার্তা বহন করছে।এ উপজেলার মোট ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ৬৮ টি গ্রাম ভিত্তিক শিশু ফোরামের ৭৪৮ জন শিশু প্রতিনিধি অন্যাঅন্য শিশুদের সাথে নিয়ে শিশু জরিপ,শিশু অধিকার সংক্রান্ত কার্যক্রম,বাল্যবিবাহ বন্ধ ভূমিকা,শিশুশ্রম প্রতিরোধ,শিশু কল্যাণে স্মারকলিপি প্রদান,করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসিক সাপোর্টের জন্য ভিডিও ও বার্তা প্রেরণ,সাবান ও মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা,নারী ও শিশু অধিদপ্তর সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জাতীয় এবং আঞ্চলিক পত্রিকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মুখি দিক সমূহ তুলে ধরা ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা,স্থানীয় সরকার বিভাগের বাজেটে শিশুদের জন্য আলাদা বরাদ্দে শিশু অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করন,জাতীয়-আন্তর্জাতিক দিবস পালন সহ নানা মুখি উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে।ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে ইউএনও,পুলিশ প্রশাসন,চেয়ারম্যান,ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহ নানা মহলে সারাফেলতে শুরু করেছে।শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য সফলতা ও প্রশংসা পেয়েছে এই শিশু ফোরাম।শিশু ফোরামের কাজকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কচুয়া এপির মাধ্যমে নানা ধরনের সহায়তা করছে শুরুথেকেই।একি সাথে স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটি(ভিডিসি),ইয়ুথ ফোরাম গুলোও শিশু ফোরামের এ উন্নয়ন কাজে সহায়তা করছে।শিশু ফোরামের এই এগিয়ে চলা নিয়ে কথা হয়েছে শিশু ফোরামের এপি কমিটির C4D সম্পাদক ও সৃজন শিশু ফোরামের সভাপতি বিথী মন্ডলের সাথে তিনি বলেন,প্রথমে আমাদের এই চলার পথ এতটা সহজ ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতাকে পার করে আমরা এখন একটা বৃহৎ প্লাটফর্মের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা সহায়তা পাচ্ছি।বিশেষ করে উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আমাদের কাজে নানা মুখি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে।এভাবে যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারি তবে শিশুদের অধিকার আদায়ে শিশুদের নিয়ে পরিচালিত এ ফোরাম হয়ে উঠবে শিশুদের জন্য একটি বড় অর্জন।একি সাথে আরো বেশি সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কামনা করেন তিনি।