বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনতে “সাধারণ ক্ষমার” ঘোষণা ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এমনকি সরকারের মধ্যেও এটা নিয়ে দ্বিমত আছে। পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেও পাচারের টাকা ফেরত আনা কঠিন হবে বলে মনে করেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মরিয়া।বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগ বলেছে, এক বছরে সন্তোষজনক টাকা ফেরত না এলে এই সুযোগ আর নয়। ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে টাকা ফেরত আনতেই হবে তা নয়। বিদেশে থাকা স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির উপর নির্ধারিত হারে কর দিলেও তা বৈধ বলে গণ্য হবে। আর এটা করলে তারা ফৌজদারি মামলা থেকেও রেহাই পাবেন।অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি ফেরত না আনলে ১৫% কর দিতে হবে। অস্থাবর সম্পত্তি ফেরত না আনলে ১০% কর দিতে হবে। আর রেমিট্যান্স আকারে ফেরত আনলে ৭% কর দিতে হবে।”এই সুযোগ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। সিপিডি, টিআইবি, এফবিসিসিআই, আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা এই সুযোগের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এটা ন্যায়-নীতি বিরোধীই শুধু নয়, এর ফলে ঘুষ-দুর্নীতি উৎসাহিত হবে, টাকা পাচার আরও বাড়বে এবং সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন।