জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী ৯ মে, রোববার। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন।
উপমহাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ওয়াজেদ মিয়া তার মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। এরপর একটানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল তার দুই সন্তান।
মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন প্রয়াত এ পরমাণু বিজ্ঞানী। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেফতারও হন। এরপর আমৃত্যু রাজনীতির বাইরেই ছিলেন।
ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। এছাড়া আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, রংপুর জেলা সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ, জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠাসহ এসব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদকে’ ভূষিত করে।