নোয়াখালী সদর উপজেলার মান্নান নগরে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাখাওয়াত উল্যাহ ও বন প্রহরী নাজমূল ইসলামের বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপকারভোগী সদস্যরা জানান, ২০১৯ সালে সোনাপুর-মান্নান নগর-চরজব্বার সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সড়কের পাশের সামাজিক বনায়নের গাছ দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রয় করে দেয় উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী। গাছগুলো দরপত্র প্রদানের পূর্বে গাছে নাম্বার প্রদানের নামে উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেন বন প্রহরী নাজমুল ইসলাম। চলতি বছরের শুরুতেই গাছগুলো দরপত্র গ্রহীতা কেটে নেয়ার পর সেপ্টম্বর মাসে উপকারভোগী সদস্যদের দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাখাওয়াত উল্যাহ। উপকারভোগীদের দলিল ও কাগজপত্র জমা নিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং অফিসের খরচ বাবদ আবারো ৫০০-৮০০ টাকা হারে ঘুষ আদায় করেন বন প্রহরী নাজমুল ইসলাম।
উপকারভোগীদের অভিযোগ, বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বন প্রহরী বাগানের গাছ বিক্রয়ে দরপত্র আহবানের পূর্বে গাছে নাম্বার দেওয়ার সময় একাধিক বড় বড় গাছে একই নাম্বার দিয়ে দরপত্রে গাছের সংখ্যা কম দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক গাছ কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলতি বৃক্ষ রোপন অভিযানে গাছের চারা নিয়েও নয়-ছয় করেন অফিসের লোকজন।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও একটি বাগানের উপকারভোগীদের সভাপতি জানান, উপকারভোগীদের বাগানের তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দিতে দলিল ও কাগজপত্র জমা নেওয়ার নামে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রহরী। এছাড়া অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সঠিকভাবে বাগান তদারকি না করে অফিসে বসে বসে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে যাচ্ছেন। এতে সামাজিক বনায়নের গাছগুলোর ৩০ শতাংশ বেড়ে উঠা কষ্ট হয়।
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত উল্যা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নাম্বার দেওয়ার জন্য যে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে, তখন তিনি এখানে ছিলেন না। বর্তমানে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও তিনি জানেন না। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।