রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে চাঁদাবাজদের দাপটে হাসপাতাল নির্মাণের অবকাঠামো গঠনের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ ও জমিতে দখলবাজদের প্রবেশ বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী জমির মালিক একেএম মঞ্জুরুল আলম ধামরাইয়ের সুতিপারা ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক খুরশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ই,ইউ) এর ঢাকাস্থ অফিসের খাদ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে কর্মরত ছিলেন।অভিযুক্ত মোঃ নজরুল ইসলাম ধামরাইয়ের বাথুলি এলাকার আয়াতল বেপারির ছেলে।লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বালিথা এলাকায় ক্রয় সূত্রে ১৯৮০ সালে ৭৫৬২ নং দলিলে শ্রীমতী নারায়ণী রায় চৌধুরীর কাছ থেকে ১৬৫ শতাংশের কাতে ০৬ নং দাগে ৬১ শতাংশ জমির মালিক হন মঞ্জুরুল আলমসহ তার দুই ভাই মাহবুবুল আলম ও ড. মাকসুদুল আলম। এছাড়া পরে ১৯৮৩ সালে পাশের মুক্তি বেপারির কাছ থেকে ৫ দাগের ১১৩ শতাংশ জমিও কেনেন ভুক্তভোগীরা। এতে একই জায়গায় তাদের মোট জমি হয় ১৭৪। এই জমিতে এত বছর ধরে নানান চাষবাস করে আসছিলেন তারা। সম্প্রতি সেই জমিতে হাসপাতাল নির্মাণের জন্যে রড-সিমেন্ট, বালুসহ অবকাঠামো নির্মাণ সামগ্রি আনলে তাতে বাঁধা দেয় অভিযুক্তরা।একেএম মঞ্জুরুল আলমের ভাতিজা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশিকুর রহমান রাজিব বলেন, আমার চাচারা দেশের বাইরে থাকেন। এলাকায় তাদের সুনাম রয়েছে।গ্রামের মানুষের জন্যে কিছু করার প্রয়াস থেকে হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এটা এখন ভুমিদস্যুদের কারণে বাঁধার মুখে। আমরা সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম, সেটাও বারবার ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া আমাদের ওপর হামলাও করতে এসেছে। এজন্যে তারা স্থানীয় অনেক নেতৃস্থানীয় অনেককেও ব্যবহার করেছে। দখলদারদের কারণে আমার চাচারা প্রবাস থেকে ফিরতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।তবে এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোঃ নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।এবিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা এটার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। জমিজমার মামলা হওয়ায় বিষয়টি তখনই বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছি। নির্দেশ আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।