1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এবার শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: এসপি টাঙ্গাইল  গাজীপুরে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রীপুরে লাল সবুজ সমাজ কল্যাণ পরিষদের ব্যাট বিতরন নবীনগরে খসরু মাস্টার চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিজয় প্রকাশ গোপালপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালকের মৃত্যু নবীনগরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১ দফা দাবীতে মানববন্ধন  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত গোপালপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি মিথ্যা মামলায় রাজস্থলীতে ১১ মাস পর মুক্তি পেলেন গণমাধ্যম কর্মী

দেশের কোনো মানুষ ঘর ছাড়া থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের কোনো মানুষ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ চলছে।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাবার মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি।

 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন উপকারভোগীদের ভাতা মোবাইলফোনে পৌঁছে দেওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি। ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ ও স্বামী পরিত্যাক্তা মানুষদের সহায়তায় কাজ শুরু করি। পরবর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তী সময়ে গৃহহীণ মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ করি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। বস্তিবাসীদের উন্নয়নেও আমরা কাজ করেছি।

 

তিনি বলেন, আমি যেদিন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নিই, সেদিনই বলেছিলাম আমি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রিত্ব আর কিছু না, প্রধানমন্ত্রিত্ব আমার কাছে এটা যে, আমি কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছি। কাজ করার ক্ষমতাটা পাচ্ছি। কাজেই সেই মানুষের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবা করব। আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।

 

২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম, তার পরও। সাধারণত আমাদের দেশে সেটা হয় না। সব সময় দেখা যায় যারা ইমার্জেন্সি দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় যে থাকে তাকেই ধরে। কিন্তু সেই সময় আমাকে আগে ধরল।’

 

গ্রেফতারের পর ভবিষ্যতে দেশকে কীভাবে উন্নত, সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা যায় কারাগারে বসেই সেই পরিকল্পনা করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বসে থাকিনি। ওই কারাগারে যখন ছিলাম, প্রথম যখন গেলাম, তখনই আমি চিন্তা করলাম যে একদিন না একদিন তো এখান থেকে মুক্তি পাব, দেশের জন্য কাজ করব। তা হলে কি কাজ করব, কোন সালে কি করব, খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা, মানুষের স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন নিশ্চিত করা, শিক্ষার হার বাড়ানো, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া, এইসব বসে বসে চিন্তা করে করে আমি লিখে রাখতাম।’

 

এর পর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে গিয়ে সেইসব পরিকল্পনাসহ অন্যান্য পরিকল্পনা যুক্ত করে ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দেওয়ার কথা জানান সরকার প্রধান।

 

আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রেখে তাদের বারবার ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।

 

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব ভাতা দিচ্ছি এটা যেন যথাযথ সঠিকভাবে যে মানুষটাকে আমরা দেব তার হাতে পৌঁছায়। মাঝে যেন আর কেউ না থাকে। তাদের অর্থটা তাদের হাতে যাবে। তাদের যেভাবে খুশি তারা সেভাবে ব্যবহার করবে। সেটার ব্যবস্থা করতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই ব্যবস্থাটা আপনারা নিয়েছেন।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বয়স্কভাতা শুরু করি আমি এভাবে হিসাব করেছিলাম যে, কেউ ভাতার উপর শুধু নির্ভরশীল হোক সেটা আমরা চাই না। ভাতা পাবে কিন্তু যার কর্মক্ষমতা আছে সে নিজে কিছু কাজও করবে, একেবারে ঘরে বসে থাকবে না। যেন অন্তত ১০ কেজি চাল কিনতে পারে সেই হিসাবে আমরা ভাতা দেওয়া শুরু করি। তখন ১০ টাকায় এক কেজি চাল পাওয়া যেত। তাই আমরা ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া শুরু করি। এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে, যা আগের চেয়ে সংখ্যায় বেশি সংখ্যক লোক পাচ্ছেন।

 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ ছাড়াও চাঁদপুর, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপকারভোগী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments
৩ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি